অবেশেষে মিলল গ্রিন সিগন্যাল, বাড়ি ফিরছেন আটকে পড়া ১ লক্ষেরও বেশি পরিযায়ী শ্রমিক

  • দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে পরিযায়ী শ্রমিকরা
  • মহারাষ্ট্রেও আটকে রয়েছেন বহু শ্রমিক
  • তাঁদের এবার ঘরে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিল সরকার
  • তবে করোনা পরীক্ষার পরেই মিলবে অনুমতি

Asianet News Bangla | Published : Apr 18, 2020 10:05 AM IST / Updated: Apr 18 2020, 03:41 PM IST

গত মঙ্গলবার ১৪ এপ্রিল জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়ে দিয়েছিলেন দেশে দ্বিতীয়দফায় লকডাউন শুরু হচ্ছে। যা চলবে আগামী ৩ মে পর্যন্ত। সেইদিন  সন্ধেবেলাতেই  রীতিমতো অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে মুম্বইয়ের বান্দ্রা স্টেশন চত্বর। ওই এলাকায় কমপক্ষে কয়েক হাজার অভিবাসী শ্রমিক জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।  একটাই দাবি ছিল, যে কোনওভাবে তাঁদের বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করতে হবে সরকারকে। এহেন পরিস্থিতিতে তাঁদের কথা ভেবে বড় সিদ্ধান্ত নিল মহারাষ্ট্র সরকার। বিধিসম্মত স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর এক লক্ষেরও বেশি শ্রমিককে বাড়ি ফিরে যাওয়ার অনুমতি দিল মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের প্রশাসন।

 লকডাউনের ফলে দেশের নানা প্রান্তে আটকে রয়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকদের দল। তেমনি মহারাষ্ট্রেও আটকে পড়েছেন ১ লক্ষ ৩১ হাজার পরিযায়ী শ্রমিক।  এর সকলেই রাজ্যের আখ কারখানাগুলিতে কাজ করেন। এবার এই শ্রমিকদের বাড়ি ফিরতে দেবে মহারাষ্ট্র সরকার। তবে এঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরই মিলবে বাড়ি যাওয়ার অনুমতি। আর এই পরীক্ষার খরচ ও বাড়ি ফেরানোর  সব বন্দোবস্তই করতে হবে রাজ্যের ৩৮টি  আখের কারখানাগুলির মালিকদের। 

ভারতীয় নৌবাহিনীর অন্দরেও এবার করোনার থাবা, একসঙ্গে আক্রান্ত কমপক্ষে ২০ জন আধিকারিক

দেশে একসঙ্গে করোনা আক্রান্ত ৪২৯ জন তবলিগি, পরিস্থিতি সামলাতে দিশেহারা ইসলামাবাদ

গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৪ হাজার, আমেরিকায় আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লক্ষের বেশি

প্রশাসন সূত্রে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হলেও হলেও, তাঁরা বাড়ি ফিরে অন্য কোছাও বেরোতে পারবেন না। মেনে চলতে হবে লকডাউনের সমস্ত নিয়ম ও শর্ত। 

এদিকে এক লক্ষেরও বেশি এই পরিযায়ী শ্রমিকদের করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা কার নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কারণ, বিষয়টি বেশ ব্যয়সাপেক্ষ। কারখানার মালিকরা সেটা কতটা নিয়ম মেনে কববেন, তা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। এদিকে কোনও শ্রিমক যদি সাইলেন্টট ক্যারিয়ার হ, তাহলে ঠিকমত করোনা পরীক্ষা না হলে তাঁর থেকে প্রচুর লোকের সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা থেকে যাবে।

এদিকে দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রেই এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। রাজ্যটিতে কোভিড ১৯ রোগের শিকার হয়েছেন ৩ হাজারেরও বেশি মানুষ। যার মধ্যে দেশের বাণিজ্য রাজধানী মুম্বইতে একাই সংখ্যা ২ হাজারের বেশি। এদিকে দেশে ইতিমধ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা ৫০০ ছুঁতে চলেছে।

Share this article
click me!