করোনা ঠিক কোন পর্যায়ে গেলে একজন করোনা আক্রান্ত ব্যাক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিত সেই বিষয় বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে একটি বিশেষ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেখানে স্পষ্টভাবে বলা রয়েছে কোন পরিস্থতিতে এবং কী ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে বাড়িতে রোগীকে না রেখে তাঁকে হাসাপাতালে ভর্তি করা উচিত।
অতিমারি কোভিড (Covid) প্রতিবার চরিত্র বদলে মানুষের শরীরে থাবা বসাচ্ছে। আর করোনার সেই গতিপ্রকৃতি দেখেই নির্ধারণ করা হচ্ছে তার উপযুক্ত গাইডলাইন (Covid Guideline)। করোনাকে অতিমারি বা মহামারির তকমা দেওয়া হয়েছে ঠিকই, তবে অযথা করোনাকে নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই বা সন্দেহের বশে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার জন্য উদ্বেগ প্রকাশও বৃথা। করোনার এই বাড়বাড়ন্তের মুহুর্তে বারবার চিকিৎসকরা ও বিশেষজ্ঞরা সকলের উদ্দেশ্যে এই পরামর্শই প্রদান করছেন। করোনা ঠিক কোন পর্যায়ে গেলে একজন করোনা আক্রান্ত ব্যাক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিত (Hospitalization Rules) সেই বিষয় বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে একটি বিশেষ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেখানে স্পষ্টভাবে বলা রয়েছে কোন পরিস্থতিতে এবং কী ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে বাড়িতে রোগীকে না রেখে তাঁকে হাসাপাতালে ভর্তি করা উচিত।
প্য়ান্ডেমিক পরিস্থিতিতে অযথা প্যানিক সৃষ্টি না করে সঠিক সময়ে কীভাবে সঠিক সিদ্ধান্তটি নেবেন জেনে নিন। এক নজরে দেখে নিন কোন ধরনের করোনা আক্রান্ত রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা বাধ্যতামূলক।
১. এতদিন পর্যন্ত চিকিৎসকরা বলছিলেন, মৃদু উপসর্গ থাকলে বাড়ি থেকেই করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা করা সম্ভব। তবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে যে নয়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে সেখানে বলা হচ্ছে, বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করার পরও ৩ দিনের বেশী শরীরে ১০০-র ওপর জ্বর থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের দ্বারস্থ হওয়া উচিত।
২. করোনা রোগীর ক্ষেত্রে তাঁর অক্সিজেন মাত্রার ওপর অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানান হয়েছে ১ ঘন্টার মধ্যে যদি অক্সিজেন মাত্রা ৯৩ শতাংশের নীচে নেমে যায় তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
৩. কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানান হয়েছে, শ্বাসকষ্ট জনিত কোনও রকম অসুবিধা অনুভব করলে বাড়িতে থাকা কখনই উচিত নয়। সেক্ষেত্রে করোনা আক্রান্ত রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়াই শ্রেয়।
৪. একজন করোনা আক্রান্ত রোগীর নিঃশ্বাসের হারের মাত্রা ওপর বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে। প্রতি মিনিটে শ্বাস প্রশ্বাসের মাত্রা যদি ২৪-র বেশি হয় তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৫. শরীরে যদি কেও ব্য়াথা অনুভব করেন তাহলে সেটিকে কিন্তু কোনওভাবেই অবহেলা করা উচিত নয়। একইসঙ্গে যদি বুকে অবিবরত চাপ অনুভব করেন সেক্ষেত্রেও চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে।
৬. যদি আপনি উঠে দাঁড়াতে বা বসতে সমস্য়া বোধ করেন বা পেশিতে অত্যন্ত ব্যাথা থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যান।
৭. শরীরে যদি মাত্রাতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভব করেন তাহলেও সেটা কিন্তু করোনার উপসর্গ বলেই মনে করা হয়। তাই ক্লান্তি দূর করতে নিজস্ব টোটকা ব্য়বহার না করে এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৮. কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে আরও জানান হয়েছে, যদি কারোর মানসিক বিকার দেখা যায় বা বিচার বিবেচনায় অসংলগ্নতা থাকে তাহলে এমন ব্যক্তিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়াই শ্রেয়।
আরও পড়ুন-Containment Zone In Kolkata: করোনার দাপটে কাবু কলকাতা, কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা বেড়ে হল ৪৮
আরও পড়ুন-Dev-Rukmini Positive-ফের টলিপাড়ায় করোনার কামড়, কোভিড আক্রান্ত দেব-রুক্মিনী
বলা বাহুল্য, বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে হোম আইসোলেশনের সময়ও ১৪ দিনের পরিবর্তে ৭ দিন পর্যন্ত করে দিল। একজন করোনা আক্রান্তের যদি একটানা তিনদিন জ্বর না আসে তবে রিপোর্ট পজিটিভ হওয়ার সাত দিন পর তাঁরা নিভৃতবাস থেকে মুক্তি পেতে পারেন।