উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনার তৃতীয় ঢেউ, রাজ্যগুলিকে জেলা স্তরে কন্ট্রোল রুম খোলার নির্দেশ কেন্দ্রের

নয়া এই নির্দেশিকায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, জেলা ও উপ-জেলা স্তরে করোনার কন্ট্রোল রুম তৈরি করতে হবে। সেগুলির মাধ্যমে চালাতে হবে নজরদারি। 

গোটা দেশে নতুন করে ত্রাস হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনা (Corona) সংক্রমণ। প্রতিদিনই লাফিয়ে বাড়ছে দৈনিক করোনা আক্রান্তের (Daily Corona Cases) সংখ্যা। সংখ্যা যেন কোনওভাবেই কমছে না। তার মধ্যেই আবার চোখ রাঙাচ্ছে করোনার নতুন রূপ ওমিক্রন (Omicron)। এই প্রজাতি অনেক দ্রুত সংক্রমণ ছড়ায় বলে বিশেষজ্ঞদের তরফে জানানো হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ ঠেকাতে নতুন গাইডলাইন (Guideline) প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সব রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবদের কাছে সেই গাইডলাইন পাঠানো হয়েছে।

নয়া এই নির্দেশিকায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Union Ministry of Health ) তরফে বলা হয়েছে, জেলা ও উপ-জেলা স্তরে (district and sub-district level) করোনার কন্ট্রোল রুম (Control Rooms) তৈরি করতে হবে। সেগুলির মাধ্যমে চালাতে হবে নজরদারি। যেমন, অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা ও হাসপাতালগুলির শয্যা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য থাকবে সেই কন্ট্রোল রুমের কাছে। তার ফলে যে কোনও রোগীকে পরিষেবা দেওয়া অনেক বেশি সহজ হবে। কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে হয়রানির শিকার হতে হবে না সাধারণ মানুষকে। 

Latest Videos

আরও পড়ুন- কোভিড সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ছে কলকাতা পুলিশে, আক্রান্ত CBI আধিকারিকরাও

নির্দেশিকায় রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবদের বলা হয়েছে...

১) কন্ট্রোল রুমগুলিতে চিকিৎসক, পরামর্শদাতা ও ভলেন্টিয়ারদের রাখতে হবে। এছাড়াও থাকবে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফোন। যার মাধ্যমে যোগাযোগ করা অনেক বেশি সহজ হবে।

২) কন্ট্রোল রুমগুলিতে কম্পিউটার ও নেট কানেকশন থাকতে হবে। যা সব সময় সচল থাকবে। এক মুহূর্তের জন্যও সেগুলিকে বন্ধ করা যাবে না। 

৩) পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে সাধারণ মানুষকে নির্দেশিতা ও সহায়তা করার জন্য প্রয়োজনে ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে কন্ট্রোল রুমগুলি। যাতে কোনও রোগীর সমস্যা না হয় সেদিকে তারা খেয়াল রাখবে। 

৪) কন্ট্রোল রুমের কাছে করোনা পরীক্ষা কেন্দ্র, অ্যাম্বুলেন্সের সংখ্যা সহ সব ধরনের তথ্য থাকবে। আর সেই তথ্য যেন সব সময় আপডেট করা হয়ে থাকে। তথ্য সঠিক থাকলে পরিস্থিতি মোকাবিলা করাও সহজ হয়ে যাবে। 

৫) কোথায়, কোন হাসপাতালে কত সংখ্যক শয্যা রয়েছে সেই বিষয়ও তথ্য রাখতে হবে কন্ট্রোল রুমকে। এছাড়া যাঁর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া খুব বেশি প্রয়োজন সেই ধরনের রোগী যাতে শয্যা পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। না হলে দেখা যাবে এমন রোগী হাসপাতালে শয্য দখল করে রয়েছেন যাঁর সেখানে থাকার কোনও প্রয়োজন নেই। প্রয়োজনে রোগীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বিষয়গুলিকে ঠিক করতে হবে।

আরও পড়ুন- বাড়তে পারে মাইক্রো কনটেন্টমেন জোন, কমতে পারে লোকাল ট্রেন, বার্তা মমতার

৬) প্রতিটি কন্ট্রোল রুমের কাছে অ্যাম্বুলেন্স থাকবে। কোনও জায়গায় কত পরিমাণ অ্যাম্বুলেন্সের প্রয়োজন হতে পারে সেগুলি বিচার করে তারপরই কন্ট্রোল রুমগুলিকে অ্যাম্বুলেন্স বরাদ্দ করা হবে।

৭)  হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীদের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলবে 
কন্ট্রোল রুমগুলি। প্রতিদিন তাঁদের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে হবে। এবং সেই বিষয়ে আপডেট রাখতে হবে নিজেদের কাছে। ফলে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলেই যাতে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায়।

৮) কন্ট্রোল রুমের মূল দায়িত্বগুলির মধ্যে অন্যতম হল তাদের এলাকার মধ্যে যদি কোনও রোগী হোম আইসোলেশনে থাকেন তাহলে প্রতিদিন তাঁর স্বাস্থ্যের খবর নেওয়া। আর সেই রিপোর্ট জেলা প্রশাসনের কাছে জমা দেওয়া। 

Share this article
click me!

Latest Videos

'ওটা আমার জায়গা, ওকে আবার হারাব' তাপসীকে চরম বার্তা শুভেন্দুর | Suvendu Adhikari on Tapasi Mondal
‘Mamata Banerjee-কে Bhabanipur-এ হারাবো, ৫ বছর যন্ত্রণা বইবেন!’ মমতাকে কটাক্ষ Suvendu Adhikari-র
Suvendu Adhikari: ‘নন্দীগ্রাম না হলে Mamata Banerjee জীবনেও মুখ্যমন্ত্রী হতেন না, ওঁকে চেনে কে!’
'পৃথিবীর সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক বেইমান মমতা' বিস্ফোরক শুভেন্দু | Suvendu Adhikari | Mamata Banerjee |
'ঠুসে দেব' শুভেন্দুকে পাল্টা মারের হুমকি TMC MLA হুমায়ূন কবীরের | Suvendu Adhikari | Humayun Kabir