দেশের করোনা পরিস্থিতিত ক্রমেই ভয়ানক আকার ধারণ করছে। এই পরিস্থিতিতে একের পর এক রাজ্যে যে ছবি উঠে আসছে তা নিঃসন্দেহে ভয়ের। বাড়ছে সংক্রমণের সংখ্যা, বাড়ছে মৃত্যু মিছিল পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সক্রিম রোগীর সংখ্যাও। যার ফলে দেওয়া যাচ্ছে না পরিষেবা। নেই ভ্যাকসিনের পর্যাপ্ত যোগান, এখানেই শেষ নয়, পাশাপাশি মিলছে না অসুধ। এরপরও কালোবাজারির স্পষ্ট ছবি ধরা পড়ছে সর্বত্রই। এমন পরিস্থিতিতে ভোট যুদ্ধ, রবিবারই তা শেষ। এবার লক্ষ্যে কেবলই করোনা ।
আরও পড়ুন- প্রয়োজন মেটাতে ভরসা বায়বীয় অক্সিজেন, করোনা মহামারি নিয়ে বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর.
দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে, করোনার এই কোপ কাটিয়ে উঠতেই কি এবার নয়া চ্যালেঞ্জ নেমে কেন্দ্র, প্রশ্ন এখন সেটাই। ।দিও বিশেষজ্ঞের মতে এটাই একমাত্র অস্ত্র। কড়া লকডাউন যদি কয়েকদিনের জন্য করে দেওয়া হয়, তবেই এই চেন ভেঙে ফেলা সম্ভবপর। ইতিমধ্যেই চিন্তা বাড়িয়েছে ১০ রাজ্য। যেখানে কোথাও কার্ফু, কোথাও আংশিক লকডাউন চলছে। যার মধ্যে রয়েছে- মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ, দিল্লি, কর্ণাটক, কেরল, ছত্রিশগড়, বাংলা, তামিলনাডু, অন্ধ্রপ্রদেশ ও রাজস্থান।
১৫০ টি জেলাতে গত কয়েকদিনে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে ১৫ শতাংশ। পরিস্থিতি লকডাউনের পথেই এগোচ্ছে, কিন্তু কেন্দ্রিয় সপরকার, স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার পাশাপাশি আরও একটি বিষয় নজর রাখতে মরিয়া, তা হল দেশের অর্থ ব্যবস্থা। অর্থনৈতিক স্তরে যে বিশাল বিপর্যয় নেমে আসছে, তা নিয়ে ভাবা প্রয়োজন, এবং লকডাউন সেক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে অভিশাপ। যদিও বর্তমানে কেন্দ্র থেকে বিভিন্ন রাজ্যকে ক্ষমতা দেওয়া আছে, যে প্রয়োজনে যে কোনও রাজ্য নিজেদের মত করে যে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে পরিস্থিতি সামাল দিতে। তবে এখনও লকডাউন নিয়ে চলছে নানা স্তরের বৈঠক, লকডাউন সর্বশেষ অস্ত্র হিসেবেই এখনও তুলে রাখা হয়েছে।