ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে ভারতে। রবিবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়িয়েছে। বর্তমানে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩০৩০। গত ১২ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩০২ জন। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৭৭ জনের। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক নিজেদের ওয়েবসাইটে আশার আলোও দেখিয়েছে এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ২৬৬ জন মানুষ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পেরেছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সবথেকে খাপার অবস্থা মহারাষ্ট্রের। উদ্ধব ঠাকরের রাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৯০। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। আক্রান্তের সংখ্যা ৪৮৫। দিল্লিতে আক্রান্ত ৪৪৫। কিছুটা হলেও পরিস্থিতি সামল দিয়েছে কেরল। আক্রান্তের সংখ্যা ৩০৬।
তবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওযা তথ্যের থেকে কিছুটা ফারাক রয়েছে আইসিএমআর-এর ডেটায়। ইন্ডিয়া কোভিড-১৯ ট্র্যাকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৬৭১।
আরও পড়ুনঃ কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি ঘিরে গুলি বোমার লড়াই, রণক্ষেত্র পাড়ুইয়ে মৃত ১
আরও পড়ুনঃ বিপর্যয়েও উজ্জ্বল বন্ধুত্ব, টেলিফোনে মোদীর সঙ্গে তিন রাষ্ট্রনেতা, কিন্তু কে কাকে দেখবে
আরও পড়ুনঃ প্রেগন্যান্সি পরীক্ষার মতো স্ট্রিপ বলবে শরীরে করোনার উপস্থিতি, ২ বাঙালি বিজ্ঞানীর কামাল
তবে আক্রান্তদের সংখ্যা দেখে ক্রমশই স্পষ্ট হচ্ছে তাবলিগি জামাত যোগ। দক্ষিণ দিল্লির নিজামুদ্দিনে শতাব্দী প্রাচিন মসজিদে মার্চের প্রথম সপ্তাহে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া মানুষ ছড়িয়ে রয়েছে ভারতের ১৭টি রাজ্য ও কেন্দ্রী শাসিত অঞ্চলে। দিল্লিতে প্রায় ২২ হাজার নিজামুদ্দিনে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের সংস্পর্শে এসেছিলেন। নিজামুদ্দিন এলাকাকে করোনাভাইরাসের হটস্পট বলে চিহ্নিত করেছে দিল্লি সরকার। তামিলনাড়ুতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৪। যার মধ্যে ৭৩ জনই তাবলিগি জামাতের অনুষ্ঠানে ছিলেন। রাজ্যে কোয়ারেন্টাইনে থাকা ১৫শ মানুষের মধ্যে ১২শ জনই জামাত অথবা পর্যটকদের সংস্পর্শে এসেছিলেন বলে জানিছে স্থানীয় প্রশাসন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানান হয়েছে, দেশে করোনা আক্রান্ত ৩০ শতাংশ মানুষের সঙ্গেই যোগ রয়েছে নিজামুদ্দিনের। যা যথেষ্ট উদ্বেগের বলেই মনে করা হচ্ছে।