সংক্ষিপ্ত

  • ১৩০ কোটি মানুষের দেশ ভারতবর্ষ
  • এই বিশাল সংখ্যক জনসংখ্যার জন্য দরকার ১৩০ কোটি কিট
  • কিন্তু, ১০ লক্ষের বেশি কিটের জোগান নিয়ে অসুবিধা রয়েছে
  • এই পরিস্থিতি-তে দিশা দেখালেন দুই বাঙালি বিজ্ঞানী

ভারতের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। তবে, কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারগুলির দাবি, যতটা সংখ্যায় এই আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি হওয়ার কথা ছিল ততটা হচ্ছে না। কারণ, লকডাউন। কেন্দ্রীয় সরকার থেকে রাজ্য সরকার সকলেই লকডাউন-কে সাধারণ জনমানসে কঠোরভাবে লাগু করার পক্ষেই সওয়াল করেছেন। ইতিমধ্যেই ২১ দিনের লকডাউনের মধ্যে ১০ দিন কেটে গিয়েছে। এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় বিষয় হল করোনাভাইরাস সনাক্তকরণের জন্য রানডম টেস্ট। এই দিশায় আশার আলো দেখালেন দুই বাঙালি বিজ্ঞানী এবং তাঁদের টিম। এই বৈজ্ঞানীক দলটি এমন একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন যাতে ২ ঘণ্টার মধ্যে জানা যাবে আদৌ কেউ করোনা আক্রান্ত কি না। সবচেয়ে বড় বিষয় এই পরীক্ষাটি-র জন্য খরচ পড়বে খুব বেশি হলে ৬০০টাকা।  

করোনা মোকাবিলায় রক্ষা করুন নিজেকে, মেনে চলুন 'হু' এর পরামর্শ

সাবধান, করোনা আতঙ্কের মধ্যে এই কাজ করলেই হতে পারে জেল

কী করে করোনার হাত থেকে রক্ষা করবেন আপনার বাড়ির বয়স্ক সদস্যদের, রইল তারই টিপস

শরীরে কীভাবে থাবা বসায় করোনা, জানালেন বিশেষজ্ঞরা

শৌভিক মাইতি এবং দেবজ্যোতি চক্রবর্তী নামে দুই বাঙালি এই পদ্ধতি বের করেছেন। তাঁদের দাবি এই পদ্ধতিতে সেরা ফলটাই বের হবে। শৌভিক এবং দেবজ্যোতি দু'জনেই সিএসআইআর ইনস্টিটিউট অফ জেনোমিক্স অ্যান্ড ইনটিগ্রেটিভ বায়োলজি-তে কর্মরত। শৌভিক জানিয়েছেন, তাঁরা এমন একটি যন্ত্রে এই পরীক্ষা করছেন যা যে কোনও ধরনের ছোটখাটো প্যাথোলজি সেন্টারেই পাওয়া যায়। এর জন্য স্পেশাল করে কোনও কিছু অর্ডার করার দরকার পড়ে না। যার ফলে এই পরীক্ষা পদ্ধতি শুধু সহজলভ্য নয়, সেই সঙ্গে অত্যন্ত কাজের। যে কোনও স্থানে যে কেউ এই পরীক্ষা করতে পারে। এর জন্য বিশেষভাবে কোনও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত না হলেও চলবে।  

 

View post on Instagram
 

বিজ্ঞানী দেবজ্যোতি চক্রবর্তী জানিয়েছেন, এই পুরো পরীক্ষাটির নাম পেপার বেসড টেস্ট। এতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে থাকা ব্যক্তির আরএনএ সংগ্রহ করা হচ্ছে। এরপর সেই আরএনএ-কে ডিএনএ-তে পরিবর্তন করা হচ্ছে। এর জন্য থেরাপেটির অ্যাপলিকেশনের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। এরপর ক্রিসপার ক্যাস নাইন বলে নামে একটি যৌগকে এই পরিবর্তিত ডিএনএ-এর সংস্পর্শে আনা হচ্ছে। এই ক্রিসপার ক্যাস নাইন যৌগটি এই ডিএনএ-কে ঘিরে একটি প্রোটিন কমপ্লেক্স তৈরি করে। এরপর প্রেগন্যান্সি পরীক্ষার মতো একটি স্ট্রিপকে এই মিশ্রণের মধ্যে চুবিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর সেখান থেকেই মিলে যাচ্ছে পজিটিভ ও নেগেটিভ-এর তথ্য। দেবজ্যোতি-র মতে এই পরীক্ষাটি করতে খুব বেশি হলে ২ ঘণ্টা সময় লাগছে। 

View post on Instagram
 

শৌভিক ও দেবজ্যোতি জানিয়েছেন, সামনে এক থেকে দেড় সপ্তাহের মধ্যেই এই কিট-কে পুরোপুরি বাজারে আনার চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা। আশা করা যায় এই পেপার বেসড টেস্ট দেশজুড়ে ছড়িয়ে দেওয়া যাবে। আপাতত এই দুই বাঙালি বিজ্ঞানীর টিম এই কিট-কে প্রায় নিখুঁত করে বাজারে আনার জন্য জোর পরিশ্রম করে চলেছে।