মাত্র ১২ দিন, করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গে ভেসে গেল ছোট্ট দুই বোনের শৈশব

  • মাত্র ১২ দিনে বিপর্যস্ত দুই বোনের জীবন 
  • পরিবারের চার সদস্যের মৃত্যু 
  • অন্ধকার শৈশবের পথে দুই বোন 
  • চিকিৎসা পায়নি বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের 

যত দিন যাচ্ছে ততই ভয়াবহ আকার নিচ্ছে করোনাভাইরাসের মহামারি। কোভিড-এর দ্বিতীয় তরঙ্গে রীতিমত উজাড় হচ্ছে শহর থেকে গ্রাম। তেমনই ছবি ধরা পড়ল উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদে।  মহামারি সব হারিয়ে এক লহমায় প্রায় নিঃস্ব হয়ে গেছে দুটি ছোট্ট মেয়ে। এক জনের বয়স ৬ আর দিদির বয়স ৮। মাত্র ১২ দিনের মধ্যে বাবা, মা, দাদু আর ঠাকুমাকে হারিয়ে রীতিমত অন্ধকার ভবিষ্যতের দিকেই পথচলা শুরু হয়েছে তাদের। 

Latest Videos

গাজিয়াবাদের একটি আবাসনে থাকত ৬ ও ৮ বছরের দুই মেয়ে। রীতিমত স্বচ্ছল ছিল পরিবার। তাদের সঙ্গে থাকত তাদের দাদু আর ঠাকুমা। কিন্তু করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গে লন্ডভন্ড হয়ে যায় তাদের সুনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। মাত্র ১২দিন। তারই মধ্যে একে একে করোনা মহামারির করাল গ্রাসে চিরকালের জন্য হারিয়ে গেছে তাদের বাবা মা ঠাকুমা দাদু- সকলেই। একটি পরিবারের আকস্মিক এই বিপর্যের ফলে ছোট্ট দুই বোনকে নিয়ে রীতিমত আতঙ্ক তৈরি হয়েছে গাজিয়াবাদের ওই আবাসনে। কোথায় কার কাছে অনাথা দুই শিশু থাকবে- তা নিয়ে চিন্তা বাড়ছে আবাসিকদের মধ্যে। 

'অক্সিজেন, ওষুধ, টিকার মতই প্রধানমন্ত্রী মোদী নিখোঁজ', রাহুল গান্ধীর করোনা-খোঁচা ...

গত এপ্রিলে দুই শিশুর দাদু প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন।তিনি  ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক ও সক্রিয় সমাজকর্মী। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরেই নিজেকে পরিবারের থেকে বিচ্ছিন্ন করে নেন। নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধও খাওয়া শুরু করেন। কিন্তু ক্রমেই পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছিল। ভর্তি করা যায়নি হাসপাতালে। ২৭ এপ্রিল দুর্গাপ্রসাদ মারা যান। তার এক সপ্তাহ পরেই দুর্গা প্রসাদের পুত্র অশ্বিন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। তারপর একে একে দুর্গা প্রসাদের স্ত্রী ও পুত্রবধূর মৃত্যু হয়। ৭ মে সাজানো গোছানো পরিবারটি প্রায় ধ্বংস হয়ে যায়। 

করোনার কোপে চাকরির পরীক্ষা, পিছিয়ে গেল UPSC-র সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা ...

আবাসনের বাসিন্দাদের অভিযোগ প্রয়োজনীয় চিকিৎসার অভাবে একটি গোটা পরিবার মাত্র ১২ দিনের মধ্যে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল। সময়মত চিকিৎসা ও চিকিৎসার সরঞ্জাম পেলে পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে বাঁচানো যেতে বলেও দাবি করেছেন তাঁরা। বর্তমানে শিশুদুটি রয়েছে বেরিলিতে তাদের পিসির কাছে। যদিও শিশুদুটির ভবিষ্যৎ কতটা সুরক্ষিত তা নিয়েও উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। 

ধর্মীয় ও রাজনৈতিক জনসভাই ভারতে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গে ফ্যাক্টর, বলল WHO ...

মহামারির কারণে অনেক শিশুর শৈশবই হারিয়ে যাচ্ছে। জাতীয় শিশু অধিকার সংরক্ষণ কমিশনের চেয়ারম্যান প্রশান্ত কানুনগো বলেন এনসিপিসিআর সমস্ত রাজ্যের মুখ্যসচিব ও শিশু সুরক্ষা কমিশনকে চিঠি দিয়েছে। রাজ্যের শিশুরা সুরক্ষিত কিনা জাও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। 

Share this article
click me!

Latest Videos

'তৃণমূলের দুয়ারে সরকার এখন দুয়ারে জঙ্গি', তীব্র আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর | Suvendu Adhikari
Suvendu Adhikari: 'কত বড় জিহাদি, রামনবমীর মিছিলে ঢিল মেরে দেখাও', হুঙ্কার শুভেন্দুর
খাদান নিয়ে Dev কে বিশ্রী আক্রমণ রাজের, দেবের পাশে দাঁড়িয়ে পাল্টা দিলেন Aritra Dutta Banik
'যেসব মুসলমানরা হিন্দুদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন তাঁদেরই পূর্বপুরুষেরা হিন্দু ছিল' বিস্ফোরক অর্জুন
‘প্রণামের সংস্কৃতি ভুলে যাচ্ছে বাঙালি’ বিস্ফোরক মন্তব্য Dilip Ghosh-এর, দেখুন কী বলছেন | Dilip Ghosh