ক্ষমতা বদলের খেলায় কি মানুষকে করোনার মুখে ঠেলে দিল বিজেপি, উঠল গুরুতর অভিযোগ

বিজেপির কাছে ক্ষমতার লোভটাই বড় হয়ে দেখা দিয়েছিল

মানুষকে করোনাভাইরাসের কবল থেকে রক্ষা করাটা নয়

মধ্যপ্রদেশের সরকার উল্টে দেওয়ার জন্যই বিজেপি সরকার লকডাউন জারি করতে দেরি করেছে

এমনই গুরুতর অভিযোগ করলেন বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতা

 

amartya lahiri | Published : Apr 12, 2020 11:59 AM IST / Updated: Apr 12 2020, 05:40 PM IST

মানুষকে করোনাভাইরাসের কবল থেকে রক্ষা করার কেন্দ্রীয় সরকার তথা বিজেপির কাছে ক্ষমতার লোভটাই বড় হয়ে দেখা দিয়েছিল। আর তার জন্যই লকডাউন জারি করতে দেরি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যার ফল এখন ভুগতে হচ্ছে দেশবাসীকে। ২১ দিনের লকডাউন-এও কোনও লাভই হয়নি। করোনার শক্তি দিন দিন বেড়ে চলেছে। এমনই গুরুতর অভিযোগ তুললেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্ত মুখ্যমন্ত্রী তথা বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতা কমলনাথ। তবে এই লড়াইয়ে কংগ্রেস কেন্দ্রীয় সরকারের পাশেই রয়েছে, তাও সাফ জানিয়ে দেন তিনি। 

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব যখন ভারতে সবে নিজের খেল দেখাতে শুরু করেছে, সেই সময়ই মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর পদ পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন, কমলনাথ। তার আগে ২৬ মার্চ পর্যন্ত বিধানসভা অধিবেশন স্তগিত করে দিয়েছিলেন কমলনাথ। কিন্তু, বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে বিজেপি সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে আস্থা ভোট আয়োজনের নির্দেশ আদায় করে। আস্থাভোটের আগেই রণে ভঙ্গ দিয়েছিলেন কমলনাথ।

এদিন তিনি দাবি করেন, কেন্দ্রীয় সরকারের আরও আগে সংসদ অধিবেশন স্থগিত করে লকডাউন জারি করা উচিত ছিল। কিন্তু, শুধুমাত্র তাঁর সরকারের পতন ঘটিয়ে নিজেদের সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্যই তা করা হয়নি। সংসদ চালু রাখা হয়েছিল, যাতে মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা অধিবেশন চালু রাখতেই হয়। আর ২৩ তারিখ শিবরাজ পাতিল নয়া মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার পরের দিনই সারা দেশে লকডাউন জারি করা হয়। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে সরকার কিসের জন্য অপেক্ষা করছিল, বলে দাবি করেন এই প্রবীন কংগ্রেস নেতা।

প্রাণীসম্পদ থেকে পোষ্য হল কুকুর, করোনাভাইরাস-এর জেরে চিনে বড়-সড় রদবদল

রোজ রাত আটটা বাজলেই দেশজুড়ে সবাই করছে ঘেউ ঘেউ, করোনাতঙ্কের আমেরিকায় হচ্ছেটা কী, দেখুন

করোনা-লড়াইয়ে দারুণ স্বস্তি, ভারতের গোলাবারুদ প্রস্তুতকারকরাই তৈরি করলেন অভিনব অস্ত্র

সেইসঙ্গে, তিনি আরও দাবি করেছেন, মধ্যপ্রদেশ যে এই মুহূর্তে দেশের অন্যতম করোনা-ধ্বস্ত রাজ্য, তার অন্যতম কারণ হল, এখনও মধ্যপ্রদেশে কোনও স্বাস্থ্যমন্ত্রী নেই। কোনও মন্ত্রিসভাই নেই। সবটাই 'শিবরাজ পাতিলের ওয়ান ম্য়ান শো'। এক ব্যক্তি ও স্বাস্থ্য বিভাগের ৪৫ জন কর্তা - এই শক্তি নিয়ে মধ্যপ্রদেশ কোবিড-১৯'এর বিরুদ্ধে লড়ছে। 'সংবিধানেও বলা হয়েছে যে মন্ত্রিপরিষদ তাকতেই হবে', মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি।

Share this article
click me!