গত কয়েকদিন ধরেই করোনা সংক্রমণের সংখ্যা চার লক্ষের গণ্ডি পেরিয়েছিল। ঝড়ের বেগে ছড়িয়ে পড়া এই মারণ ভাইরাস কেড়েছিল সাধারণ মানুষের রাতে ঘুম। সেই পরিস্থিতিতেই কীভাবে সংক্রমণ ঠেকানো যায় তা নিয়ে রাত-দিন এক করে বিভিন্ন মহলে চলছিল পর্যালোচনা। বেশ কয়েকটি রাজ্য বেছে নিয়েছিল লকডাউনের রাস্তা। মিলছিল না পরিষেবা, মিলছিল না অক্সিজেন, সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়তে থাকায় ঘুম উড়েছিল ডাক্তারদেরও। তবে বর্তমানে সেই সংখ্যা ক্রমেই নিম্নমুখী।
আরও পড়ুন- করোনাভাইরাসের ডেল্টা আর বিটা রূপ থেকে সুরক্ষা দেবে কোভ্যাক্সিন, দাবি বিজ্ঞানীদের
এক ধাক্কায় সংক্রমণ কয়েকদিনের মধ্যেই উঠে গিয়েছিল চার লক্ষের কাছে। দৈনিক সংক্রমণের সেই হারই ছিল ভারতের বুকে করোনায় দ্বিতীয় ঢেউয়ের পিক। বর্তমানে তা এক ধাক্কায় কমে দাঁড়িয়েছে এক লক্ষের নীচে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্তের সংখ্যা- ৯২, ৫৯৫। টানা এক দুই মাস পর তা আবার এক লক্ষের নীচে সংক্রমণ। তবে সেভাবে কমছে না মৃত্যুর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজার ২১৯ জন।
দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মোট প্রাণ কেড়েছে ৩ লক্ষ ৫৩, ৫২৮ জনের। তবে সংখ্যা কমেও নেই স্বস্তি। এখন থেকেই জারি তৃতীয় ঢেউয়ের ভয়। তা নিয়ে নানা তথ্য সামনে উঠে আসতে দেখা যাচ্ছে বর্তমানে। তার আগে ভ্যাকসিনের দিকে কড়া নজর দিয়েছে কেন্দ্র থেকে রাজ্য, যথা সম্ভব ভ্যাকসিন সময় মত মানুষকে দেওয়া যায়, সেই চেষ্টাই বর্তমান। অধিকাংশ জায়গাতেই লকডাউন উঠে গিয়েছে, চলছে আনলক পর্ব।