সংক্ষিপ্ত

  • করোনাভাইরাসের ডেল্টা আর বিটা থেকে সুরক্ষা 
  • সুরক্ষা দিতে সক্ষম কোভ্যাক্সিন 
  • জানিয়েছে একটি সমীক্ষা 
  • কোভ্যাক্সিন রীতিমত কার্যকর নতুন রূপের বিরুদ্ধে 
     

করোনাভাইরাসের নতুন টিকা নীতি চালু হতে চলেছে আগামী ২১ জুন থেকে।তার আগেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছেন কোভিড ১৯ এর নতুন রূপগুলি থেকে কতটা সুরক্ষা দিতে পারবে এই ভ্যাকসিনগুলি। তারই উত্তর পাওয়া গেছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR), পুনের ন্যাশানাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি ও ভারত বায়োটেকের যৌথ গবেষণায়।  সমীক্ষায় দেখা গেছে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন বিটা ও করোনাভাইরাসের ডেল্টা রূপগুলির বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ সুরক্ষা দিতে সক্ষম। 

ডেল্টা (B.1.617.2) রূপটির প্রথম সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। এটি বর্তমাতে দেশে একটি একটি প্রভাবশালী করোনাভাইরাসের স্ট্রেইন। বিটা (B.1.351)রূপটির প্রথম সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকাতে। কোভ্যাক্সিন নিয়ে সমীক্ষা রিপোর্টটি এখনও মুদ্রিত হয়নি। এটি এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ণ পর্যালোচনাও করা হয়নি। তবে জানান হয়েছে, সমীক্ষার জন্য এমন ২০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিব যাঁরা কোভিড থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। আর ১৭ জন এমন ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে যাঁরা ২৮ দিনের ব্যবধানে করোনাভাইরাসের দুটি ডোজই নিয়েছেন। সংশ্লিষ্টদের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গেছে কোভ্যাক্সিন করোনাভাইরাসের দুটি মারাত্মক রূপের বিরুদ্ধেই সুরক্ষা দিতে সক্ষম হয়েছে। 

ICMR-এর প্রধান বলরাম ভার্গবও এই সমীক্ষক দলের বিশেষ সদস্য। অন্যতম সদস্য ভ্যাকসিন নির্মতা সংস্থা ভারত বায়োটেক। একটি সরকারি গবেষণায় বলা হয়েছে অত্যান্ত সংক্রামক ও দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ডেল্টা স্ট্রেইন  ভারতে মারাত্মক দ্বিতীয় তরঙ্গ তৈরি করেছিল। গবেষণায় দেখা গিয়েছিল আলফা রূপটি প্রথম রূপের থেকে ৫০ শতাংশ বেশি সংক্রামক। এটি প্রথম ব্রিটিনে সনাক্ত করা হয়েছিল। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন বেশি মৃত্যু আর আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধতে ডেল্টার ভূমিকা কতটা রয়েছে তা সম্পর্কে এখনও তেমন কোনও তথ্য হাতে পাওয়া যায়নি। 

চলতি সপ্তাহের শুরুতেই আরও একটি সমীক্ষা রিপোর্ট সামনে এসেছিল যেখানে দাবি করা হয়েছিল সেরামের তৈরি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড কোভ্যাক্সিনের তুলনায় দ্রুত ও বেশি পরিমাণে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সক্ষম। ভারতের প্রাপ্ত দুটি ভ্যাকিসিন যেসব স্বাস্থ্য সেবা কর্মীদের দেওয়া হয়েছিল তাদের মধ্যেই সমীক্ষা চালান হয়েছিল। সেখানে কোভিশিল্ড কোভ্যাক্সিনের তুলনায় এগিয়ে থাকলেও নতুন গবেষণা বলছে করোনাভাইরাসে নতুর রূপগুলির বিরুদ্ধে রীতিমত কার্যকর কোভ্যাক্সিন। আগের গবেষণায় অবশ্য বলা হয়েছিল কোভিশিল্ড আর কোভ্যাক্সিন -দুটি কোভিড টিকাই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে রীতিমত কার্যকর। 

গতকালই কেন্দ্রীয় সরকার দেশে প্রাপ্ত করোনাভাইরাসের টিকার সর্বোচ্চ মূল্য বেঁধে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারে পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, বেসরকারি ক্ষেত্রে কোভিশিল্ডের দাম পড়বে ডোজ প্রতি ৭৮০, কোভ্যাক্সিনের দাম ১হাজার ৪১০ টাকা। আর রাশিয়ার তৈরি স্পুটনিক ভিএর দাম পড়বে ১ হাজার ১৪৫ টাকা। এই দামের মধ্যেই পড়বে সমস্ত ট্যাক্স ও ১৫০ টাকা সার্ভিস চার্জও।