দিল্লি সরকারের বিতর্কিত নির্দেশিকা
কেরল চুপ রইলেই সমালোচনায় বিজেপি
বিজেপি বলল দিল্লির সরকার মানে না সংবিধান
যদিও নির্দেশিকা প্রত্যাহার করেছে হাসপাতাল
শুধুমাত্র হিন্দি আর ইংরেজি ভাষাতেই কথা বলা যাবে। মালায়ালাম ভাষা ব্যবহার করা যাবে না। এই মর্মে দিল্লি সরকারের অধীনে থাকা গোবিন্দ বল্লভ পান্থ ইনস্টিটিউট অব পোস্ট গ্রাজুয়েট মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ বা GIPMER যে নির্দেশিকা জারি করেছিল তা রবিবার প্রত্যাহার করে নেয়। কিন্তু তারপরেও দিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা অব্যাহত। বিষয়টি নিয়ে রীতিমত সরব হয়েছে বিজেপি।
বিজেপির মুখপাত্র টম বড়াক্কন দিল্লি সরকারের পাসাপাশি কেরল সরকারকেও এক হাত নিয়েছেন।তিনি বসেছেন, দিল্লিতে এমন একটি সরকার রয়েছে যা ভারতের সংবিধান ও সংবিধান স্বীকৃত ভাষার প্রতি নূন্যতম সম্মান জানাতে পারে না। বর্তমানে দেশে কেরলে থেকে আসা নার্সের সংখ্যা সবথেকে বেশি। কেরলের নার্সদের অধিকাংশই মালায়ালম ভাষায় কথা বলেন। কেরলের নার্সদের পরিষেবা শুধু দেশে নয় বিশ্বজুড়ে সম্মানিত। দিল্লি সরকারের জেআইপিএমইআর এর নার্সিং কর্মীদের হিন্দি আর ইংরাজিতে কথা বলার আদেশ তাঁদের সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করার সামিল। দিল্লির যখন অক্সিজেনের প্রয়োজন ছিল তখন কেরল সহযোগিতা করেছিল। কিন্তু আজ সেই কেরলের নার্সদেরই মুখের ভাষা ছিনিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। অথচ আশ্চার্যের বিষয় হচ্ছে পুরো বিষয়টিতে এখনও পর্যন্ত মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে কেরলের পিনারাই বিজয়ন সরকার।
জিআইপিএমইআর এ কর্মরত নার্সিং কর্মীদের হিন্দি বা ইংরেজি ভাষায় কথা বলার আদেশ দেওয়া হয়েছিল। একই সঙ্গে বলা হয়েছিল যাঁরা এই নির্দেশিকা মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, হাসপাতালে আসা অধিকাংশ রোগিই হিন্দিভাষী। আর সেই কারণেই নার্সরা যদি মালায়ালম ভাষায় কথা বলেন তবে তা তাঁদের বোধগম্য হবে না। রোগী ও তাদের পরিজনরা তাতে সমস্যায় পড়ছিলেন। আর সেই কারণেই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। যদিও এই নির্দেশিকা জারির পর ক্রমশই প্রতিবাদের ঝড় ওঠে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। প্রতিবাদ জানান হাসপাতালে কর্মরত নার্সরাও। এই নির্দেশিকার বিরুদ্ধে রীতিমত প্রতিবাদ জানায় কংগ্রেস। রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে শশী থারুর ও কেসি বেনুগোপালও প্রতিবাদে সামিল হন। পাশে দাঁড়ান কেরল থেকে আসা মালায়ালমভাষী নারিসদের। পরে অবশ্য আদেশ প্রত্যাগার করে নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।