ভ্যাকসিন না পেয়েও প্রথম ডোজের সার্টিফিকেট পেয়ে গেলেন দুর্গাপুরের এক মহিলা, একই ঘটনা ঐ মহিলার ভাইপোর ক্ষেত্রেও। সৌজন্যে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল। দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর মার্কনি এ্যাভিনিউর বাসিন্দা রেখা দে ও তার ভাইপো সমীর দে, বেশ কয়েকদিন ধরে মহকুমা হাসপাতালে প্রথম ডোজ পাওয়ার জন্য ঘুরে বেড়িয়েছেন, লাইনেও দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু মেলেনি প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন।
চলতি মাসের এক তারিখে লম্বা লাইনে দাঁড়ানোর পর শেষ পর্যন্ত দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রেখা দেকে জানান, আধার কার্ডের জেরক্স জমা দিয়ে যান, ফোন করে ডেকে নেওয়া হবে। এরপর তিন তারিখ রেখা দে ও তার ভাইপো সুনীত দের মোবাইলে মেসেজ আসে ভ্যাকসিন সফলভাবে সম্পূর্ণ হয়েছে, অথচ ভ্যাকসিনই পাননি এরা দুই জন বলে অভিযোগ।
এই দুই জনের প্রশ্ন তাহলে তাদের ভ্যাকসিন কোথায় গেল? ভ্যাকসিন নিয়ে চরম দুর্নীতির অভিযোগ পিসি ও ভাইপোর। এই দুই জনের মোবাইলে সফলভাবে ভ্যাকসিন সম্পূর্ণ হওয়ার মেসেজ এসেছে, তখন সরকারী হাসপাতাল থেকে কিভাবে এই দুই জনের আধার কার্ডে ভ্যাকসিন ইস্যু হয়ে গেল?
অন্যদিকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডক্টর ধীমান মন্ডল যাবতীয় দায় এড়িয়ে গেছেন। দিন কয়েক আগে ভ্যাকসিন নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল সুপার, দুর্গাপুরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পদমর্যাদার এক আধিকারিককে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখায় সাধারন মানুষ, বন্ধ করে দেয় ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ। এদিনের ঘটনা ভ্যাকসিন নিয়ে দুর্নীতির সেই অভিযোগকেই কার্যত সিলমোহর দিল বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের ।