দেশজুড়ে চলছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপ। এর মাঝে সোমবার দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হল পয়লা মে থেকে দেশের ১৮-৪৪ বছরের মধ্যে নাগরিকদের টিকাদানের কর্মসূচি শুরু হয়েছে ১২টি রাজ্যে। আগামী দিনে বাকি রাজ্যেও এটি শুরু হচে চলেছে। পাশাপাশি জানানো হয়েছে দেশের হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেনের চাহিদার জোগান দিতে ১৫০০ পিএসএ অক্সিজেন জেনারেশন প্ল্যান্টের উন্নতিকরণের কাজ হচ্ছে। নাইট্রোজেন প্ল্যানগুলিকে অক্সিজেন প্ল্যান্ট করার কাজও চলছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দেশে যথেষ্ট অক্সিজেন আছে। এদিকে আগামিকাল, মঙ্গলবারের মধ্যে রাজধানী দিল্লিতে এসে যাচ্ছে ২০৫ টন অক্সিজেন এক্সপ্রেস। ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে দিল্লি ছাড়াও হরিয়ানা ও ওড়িশার রাউরকেল্লা, আঙুলিও পাঠানো হচ্ছে অক্সিজেন।
আরও পড়ুন: মন্তব্যের ভুল ব্যাখা হচ্ছে, রাতারাতি না বাড়লেও টিকা উৎপাদন গতি পাবে: পুণাওয়ালা
আরও পড়ুন: কোভিড রুখতে শহরে চালু ২৫ বেড সহ নয়া 'অক্সিজেন পার্লার', উদ্ধোধন করলেন ফিরহাদ হাকিম
সিটি স্ক্যান ও বায়োমেকার্সের যাতে অপব্যবহার না হয় তাও দেখা হচ্ছে বলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে। মাঝারি উপসর্গ থাকলে সিটি-স্ক্যান করে কোনও লাভ হবে না বলে জানানো হয়েছে। একবার সিটি-স্ক্যান করা মানে ৩০০ বার বুকের এক্স-রে করার সমান, যা খুব ক্ষতিকারক বলেও সাবধানবাণী করেন AIIMS অধিকর্তা রনদীপ গুলেরিয়া।
এদিকে, দেশের দৈনিক সংক্রমণের বিষয়টি চিন্তায় রাখলেও, তা সামলানোর প্রস্ততি নিচ্ছে সরকার। দেশের ১২টি রাজ্যে ১ লক্ষের বেশি সক্রিয় সংক্রমণের কেস আছে। সাতটি রাজ্যে আছে ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষের মধ্যে সক্রিয় করোনা রোগী। দেশের কোন কোন রাজ্যে সংক্রমণ বাড়ায় সেখানকার সরকারকে সতর্ক করা হয়েছে, তা জানানো হয়েছে। সংক্রমণ বাড়ছে যেসব রাজ্যগুলি হল- অন্ধ্রপ্রদেশ, অসম, বিহার, হরিয়ানা, কর্ণাটক, কেরল, হিমাচলপ্রদেশ, মনিপুর, মেঘালয়, চণ্ডীগড়। সংক্রমণ কিছুটা কমছে দিল্লি, গুজরাট, মহারাষ্ট্রে।