সংক্ষিপ্ত
- ভ্যাকসিন উৎপাদন নিয়ে আদর পুনাওয়ালার ওপর চাপ বাড়ছে
- উৎপাদন রাতারাতি বাড়ানো সম্ভব নয়: পুনাওয়ালা
- ভারত বড় দেশ, সবাইকে ভ্য়াকসিন জোগাতে উৎপাদন করতে চাপ স্বাভাবিক
- ২৬ কোটি ডোজের অর্ডার পেয়েছে সেরাম
তিনি এখন গোটা দেশের সংবাদপত্রের শিরোনামে। পুণের ভ্য়াকসিন উৎপাদক সংস্থা সেরামের চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার আদার পুনাওয়ালা-র দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ। গতকালই প্রকাশিত হয় ভয়ে নাকি ভারতের ভ্য়াকসিন ম্যান তথা সেরাম কর্তা আদার পুনাওয়ালা ব্রিটেনে পড়ে রয়েছেন। কারণ দেশে থাকলেই তাঁকে ভ্যাকসিনের জোগান দেওয়ার চাপ আসছে। যার জন্য তাকে মারাত্মক হুমকির মুখেও পড়তে হচ্ছে। সবাই নাকি এত ভ্যাকসিন চাইছে, যা এখন তাদের পক্ষে প্রস্তুত করা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: ভ্য়াকসিনের অর্ডার নিয়ে চলা ধোঁয়াশা সরিয়ে আশ্বস্ত করল কেন্দ্র
আজ সেসব নিয়ে পুনাওয়ালা এক টুইট করলেন। এক বিবৃতি দিয়ে আদার পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, ''আমার অনেক মন্তব্যের ভুল ব্যাখা হচ্ছে। প্রথমত বলতে চাইব, ভ্যাকসিন উৎপাদন হল একেবারে বিশেষ স্পেশালাইজড প্রক্রিয়া। যে কারণে এই উৎপাদন রাতারাতি বাড়ানো সম্ভব নয়। আমাদের এটাও দেখতে হবে ভারতের জনসংখ্য়া কিন্তু অনেক বেশি। তাই প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক মানুষদের টিকাকরণ করার মত ভ্যাকসিনের উৎপাদন করা মোটেও সহজ কাজ হবে না। ভারতের চেয়ে অনেক কম জনসংখ্য়ার, উন্নত দেশে ভ্যাকসিন দিতে গিয়ে উৎপাদন সংক্রান্ত সমস্যায় পড়েছে।"
আরও পড়ুন: করোনা ঢেউ রুখতে কেন্দ্র-রাজ্যগুলিকে লকডাউন করার পরামর্শ শীর্ষ আদালতের
এরপর তিনি লেখেন, ''দ্বিতীয়ত গত এপ্রিল থেকেই আমরা ভারত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেই কাজ করে চলেছি। আমরা সরকারের থেকে সব ধরনের সহযোগিতা পেয়েছি। সেটা বৈজ্ঞানিক, নিয়ন্ত্রক এবং আর্থিক।''
এরপর তিনি লেখেন, এখনও পর্যন্ত আমরা ২৬ কোটি বেশি ডোজের অর্ডার পেয়েছি। তার মধ্যে ১৫ কোটি ডোজের জোগান দিয়ে দিয়েছি। পরবর্তী ব্যাচে আগামী মাসগুলিতে ১১ কোটি ডোজের জোগান দিতে আমরা সরকারে থেকে ১৭৩২.৫০ কোটি টাকা ১০০ শতাংশ অগ্রিম হিসেবে পেয়েছি। রাজ্য ও বেসরকারী হাসপাতালগুলিকে সরবারহ করার জন্য ১১ কোটি ডোজ দ্বিতীয় চ্যানেলে সরবরাহ করা হবে।"
শেষে পুনাওয়ালা জানা, আমরা বুঝতে পারছি মানুষ দ্রুত ভ্যাকসিন নিয়ে সুরক্ষিত থাকতে চাইছে, ফলে আমাদের কাছে অনেক অর্ডার আসছে। আমরা দ্রুত সেই অর্ডারের জোগান দেওয়ার চেষ্টা করছি। দেশের কোভিড যুদ্ধে জিততে তারা আরও পরিশ্রম করে জয়ের শরিক হবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। ভারতের অধিকাংশ মানুষ পুনাওয়ালার কোম্পানির কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন নিচ্ছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ থেকে বাঁচতে এখন ভ্যাকসিনই ভরসা।