কুম্ভমেলা ফেরত মহিলা করোনা আক্রান্ত
সংক্রমিত করেন গোটা পরিবারকে
সংক্রমন ছড়ান জামাইয়ের কর্মস্থলেও
কয়েক দিন আগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছিল ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সমাবেশের কারণেই ভারতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের এই বাড়বাড়ন্ত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্টকেই যেন ছাড়পত্র দিলেন বেঙ্গালুরুর ৬৭ বছরের মহিলা। কুম্ভ মেলায় এসে নিজে আক্রান্ত হলেনই, একই সঙ্গে করোনার জীবাণু ছড়িয়ে দিলেন আরও ৩৩ জনের মধ্যে।
২ ভারতীয়র মুক্তির দাবিতে উত্তাল স্কটল্যান্ড, ৮ ঘণ্টা অবরোধ বিক্ষোভের মধ্যমণি পাক আইনজীবী ..
কী করে?
পশ্চিম বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা ছিলেন ৬৭ বছরের মহিলা। তাঁর জামাই চিকিৎসক। স্থানীয় একটি স্বাস্থ্য সেবা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত। ৬৭ বছরের মহিলা এপ্রিলে কুম্ভ স্নান সেরে বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন। তারপরি জামাই উদ্যোগ নিয়ে শাশুড়ির করোনা পরীক্ষা করান। কিন্তু সেই সময় জানা যায় শাশুড়ি উপসর্গবিহীন করোনা রোগী। ধীরে ধীরে রোগের লক্ষণগুলি দেখা দিচ্ছিল। তারপরই জামাই নিজের করোনা পরীক্ষা করান। তখন দেখা যায় সেই ব্যক্তিও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাস থেকে কী ভাবে রক্ষা পাবেন, কোভিড রোগীদের সচেতন করে পরামর্শ হর্ষ বর্ধনের ...
পরিবার ও ক্লিনিকে সংক্রমণ
একই পরিবারের দুই সদস্য আক্রান্ত হওয়ার পর গোটা পরিবারেরই করোনা পরীক্ষা করা হয়। তখন দেখা যায় পরিবারের ১৮ জন সদস্যই করোনায় আক্রান্ত। জামাই যে ক্লিনিকে কর্মরত ছিলেন সেখানে তাঁর সহকর্মী ও রোগীদের মধ্যেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে বলে স্পষ্ট হয়ে যায়। ইতিমধ্যেই জামাইয়ের সংস্পর্শে আরা ২০০ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে দেখা যায় মোট ১৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তবে বর্তমানে সকলেই সুস্থ রয়েছে বলেওজানা গেছে। যার মধ্যে রয়েছেন একজন কর্মী, একজন চিকিৎসকও। বাকি সকলেই ক্লিনিকে আসা রোগী।
দিদির দেওয়া ফুটবল উপহার, অভিনব কায়দায় সংবর্ধনা নারায়ণগড়ের বিধায়ক সূর্যকান্ত অট্টকে ...
কুম্ভ মেলা করোনার হটস্পট
লক্ষ্য করে দেখা গেছে কুম্ভ মেলার পর থেকে রাজস্থান উত্তর প্রদেশসহ কয়েকটি রাজ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছে। এপ্রিল থেকেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এক চিকিৎসক জানিয়েছেন সম্পূর্ণ রূপে কন্ট্র্যাক্ট ট্রেসিং করা হয় না বলে এখনও পর্যন্ত কর্নাটক সরকারের এই তথ্য নেই যে কুম্ভ মেলা ফেরত করজন আক্রান্ত হয়েছেন। তবে অন্যান্য রাজ্যের মত সেই রাজ্যেও করোনা সংক্রমণ বাড়ছে তা আর বলাক অপেক্ষা রাখে না।