করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে দেশের একের পর এক রাজ্য নিজেদের দরজা বন্ধ করছে। আজ তামিলনাডু়তেও লকডাউনের কথা ঘোষণা হল। গতকালই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন এমকে স্ট্যালিন। ভোট সেরে উঠেই করোনা লকডাউন জারি করল স্ট্যালিন সরকার। ১০ মে থেকে তামিলনাড়ুতে হবে দু সপ্তাহের কড়া লকডাউন। দিল্লি, বিহার, ওডিশা, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, কর্নাটক, ঝাড়খণ্ড চলছে লকডাউন। কেরলে আজ থেকে ৯ দিনের জন্য লকডাউন শুরু হল। গতকালই কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন রাজ্যে লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন। সঙ্গে নিশ্চিত করেছিলেন লকডাউন রাজ্যের কেউ অভুক্ত থাকবে না। এদিকে, সংক্রমণ বাড়ায় মহারাষ্ট্রের পুনেতে উইকএন্ড লকডাউন জারি করা হল। পুনের উইকএন্ড লকডাউন এতটাই কড়া যে ওষুধের দোকান ছাড়া সব কিছুই বন্ধ থাকছে।
আরও পড়ুন: করোনা কার্ফুতে কাজ হচ্ছে না, তাই জারি করা হল সম্পূর্ণ লকডাউন - কঠোর হবে পুলিশ
গতকাল কর্ণাটকে দুই সপ্তাহের জন্য সম্পূর্ণ লকডাউন জারি করা হয়েছে। দক্ষিণের এই রাজ্যে এখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ প্রবলভাবে আছড়ে পড়েছে। কর্ণাটকের বেঙ্গালুরু এখন দেশের মধ্যে অন্যতম সংক্রমণ 'হটস্পট'। দেশের সবচেয়ে বেশি জেলার তালিকায় কর্ণাটকের জায়গাগুলো আছে উপরের দিকে।
আরও পড়ুন: করোনায় দেশে দৈনিক মৃত্যু ছাড়াল ৪ হাজার, টানা তিনদিন নয়া কেস ৪ লক্ষের উপর
দিল্লিতেও চলছে লকডাউন। তবে লকডাউনের কারণে যাতে ভ্যাকসিন দেওয়া-নেওয়ার কাজে যাতে ব্যাহত না হয় তা দেখা হচ্ছে। ওডিশায় ১৪ দিনের কঠোর লকডাউনে বন্ধ সব কিছু। ছত্তিশগড়ে ৫ মে পর্যন্ত লকডাউন আগেই ঘোষণা করে হয়েছিল, সেই লকডাউনের মেয়াদ বাডা়নো হয়েছে ১৫ মে পর্যন্ত। হিমাচলপ্রদেশে গতকাল থেকে শুরু হয়েছে লকডাউন, আপাতত চলবে ১৬ মে পর্যন্ত।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া মহারাষ্ট্রে ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন চলছে। ১৫ মে পর্যন্ত চলবে এই লকডাউন। গোয়াতে ১০ মে পর্যন্ত চলবে লকডাউন। ভোটের পর অসমেও বেড়েছে করোনার দাপট। সেখানেও কড়া নিয়ন্ত্রণ বিধি চালু হয়েছে। উত্তরাখণ্ডেও শাটডাউন সহ নানা কঠিন নিয়ন্ত্রণ জারি হয়েছে।
সব মিলিয়ে কেন্দ্র এখনও লকডাউন ঘোষণা না করলেও রাজ্যগুলি নিজেদের দরজা বন্ধ করছে।