করোনা মোকাবিলায় লকডাউন, আার তাতেই পরিষ্কার ভারতের আকাশ-বাতাস

বায়ুদূষণের মাত্রা কমছে
দিল্লির দূষণ চিত্র সন্তোষজনক
জনতা কারফুর দিন থেকে কমছে দূষণ
কলকাতার পরিস্থিতিও সন্তোষজনক

Saborni Mitra | Published : Mar 27, 2020 7:45 AM IST

চৈত্রের নীল আকাশ। আর মুক্ত বায়ু। তেমনই অবস্থা দেশের রাজধানী দিল্লির।   মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বদলে গেছে দিল্লির বায়ু দূষণের ছবিটা। কারণ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। আর সেই সংক্রমণ রুথতে বেশ কিছু দিন ধরেই নাগরিকদের ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছিল দিল্লি সরকার। রাজধানীর অনেক বাসিন্দাই আবার আতঙ্কে ঘর থেকে বার হননি। একটি সূত্র বলছে মার্চের প্রথম দিন দিল্লির বায়ু দুষণ ১০০ শতাংশের কাছা কাছি ছিল। কিন্ত ৫ মার্চ থেকেই তা কমতে শুরু করে। মাঝে কিছুটা বড়লে তেমন আশঙ্কার ছবি ধরা পড়েনি রেখাচিত্রে। 


ভারতের দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের তরফ থেকে জানান হয়েছে ২২ মার্চ জনতা কারফুর দিনই সারা দেশে বায়ু দূষণের মাত্রা উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে গেছে। দিল্লি, বেঙ্গালুরু, কলকাতা ও লক্ষ্ণৌর বাতাস রীতিমত পরিষ্কার। দিল্লির দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড জানিয়েছে, গত রবিবার দুপুর একটা নাগাদ প্রতি এক ঘনমিটারে মাইক্রোগ্রামের পরিমাণ ছিল ১২৬। কলকাতাতেও এয়ার কোয়ালিটি ইনডেস্ক ছিল ২.৫  পার্টিকেল মিটার। যা সন্তোষজনক বলেই জানিয়েছে রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। 

আরও পড়ুনঃ মহারাষ্ট্রে ট্রাকের মধ্যে ৩০০ শ্রমিক , অভিবাসী শ্রমিকদের খাবার ও আশ্রয় নিশ্চিত করতে নির্দেশ কেন্দ্রে

আরও পড়ুনঃ লকডাউনের ঝাড়খণ্ডেও বন্ধুর লালসার শিকার কিশোরী, ৮ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ

শুধু দিল্লি নয়। ভারতের প্রায় সবকটি মেট্রো সিটিতেই কমেছে দূষণের মাত্রা। একই ছবি মুম্বই, পুনে আমেদাবাদে। কলকাতা, চেন্নাই হায়দরাবাদেও অনেকটাই কমেছে বায়ুদূষণ। লকডাউন ঘোষণা করার পর দেশের সবকটি মেট্রো সিটিতেই প্রায় বন্ধ যানচলাচল।  জরুরী পরিষেবা চালু রয়েছে। তবে রাজপথে গাড়ির সংখ্যা নিতান্তই হাতে গোনা। বন্ধ না হলেও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে কারখানার উৎপাদন। আর কমেছ দূষণ। দুষণ কমে যাওয়ায় বেড়েগেছে দৃশ্যমানতা। তেমনই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। 
 
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেশে মারাত্মক আকার নিয়েছে। এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৭২৪। মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে সমাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ওপর বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। তাই আগামী ১৪ই এপ্রিল পর্যন্ত লকডাইনের কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। এই সময় বন্ধ রয়েছে বাস,ট্রেন ও উড়ান পরিষেবা। দেশের অধিকাংশ ছোট বড় কারখানা বন্ধ। তাই পাল্লা দিয়েছে কমেছে দেশের দূষণও। 

এই ছবি শুধু দেশের নয়। গোটা বিশ্বেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক আকার নিয়েছে। বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লক্ষেরও বেশি। এখনও পর্যন্ত ২৪ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে অনেক দেশই সামাজিক দূরত্ব পালন করার জন্য লকডাইনের কথা ঘোষণা করেছে। নাগরিকদের ঘরে থাকারই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে উড়ানসহ যাতায়াতের অধিকাংশ মাধ্যমই। তাই শুধু ভারতই নয়। গোটা বিশ্বেই ধীরে ধীরে বদলে যাচ্ছে দূষণ চিত্রটা। কিছুটা হলেও কমেছে দূষণের মাত্রা। 
 

Share this article
click me!