সংক্ষিপ্ত

  • লকডাউনেও ধর্ষণের অভিযোগ
  • ঝাড়খণ্ডে কিরোশীকে ধর্ষণের অভিযোগ
  • অভিযুক্ত ৮ জন
  • তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ

করনোভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে গোটা দেশেই জারি হয়েছে লকডাউন। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে কেন্দ্র এই পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু লকডাউনকে বুড়ো আঙুল দেখি ঝাড়খণ্ডে দিব্য চলছে মেলামেশা। এই পরিস্থিতিতেও এক কিরোশীরকে লোভ আর লালসার শিকার হতে হল তাঁরও বন্ধুর। নির্যাতিতা কিশোরী হাসপাতালে ভর্তি। নির্যাতিতা কিশোরী তাঁরা বন্ধুসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষেণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।  

নির্যাতিতা কিশোরী জানিয়েছে, এক বন্ধুর সঙ্গে সে দুমকা গিয়েছিল। সেখানেই দেখা হয় আরও এক বন্ধুর সঙ্গে। তাঁরা তাঁকে গ্রামে পৌঁছে দেওয়ার জন্য জঙ্গলের মধ্যে শর্টকাট রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। প্রথমে কিশোরী রাজি হয়নি। কিছুটা জোর করেই জঙ্গলের মধ্যেদিয়ে নিয়ে যায় তাঁর দুই বন্ধু। জঙ্গলে ঢোকার মুখে তাঁদের সঙ্গে আরও এক ব্যক্তি যোগ দেয়। তাঁর সঙ্গে একটি  গাড়ি ছিল। গভীর জঙ্গে বাকিরা  অপেক্ষা করছিল। 

আরও পড়ুনঃ মহারাষ্ট্রে ট্রাকের মধ্যে ৩০০ শ্রমিক , অভিবাসী শ্রমিকদের খাবার ও আশ্রয় নিশ্চিত করতে নির্দেশ কেন্দ্রে

আরও পড়ুনঃ করোনা যুদ্ধে সামিল ভারতীয় রেল, ট্রেনের বগিতেই বানান হচ্ছে কোয়ারেন্টাইন

আরও পড়ুনঃ খেতে না পেয়ে মরার থেকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মরাই ভালো, লকডাউনের দিল্লি থেকে আর্জি মহিলার

কিশোরীর বয়ান অনুযায়ী সেখানেই তাঁকে একে একে ৮ জন ধর্ষণ করে। তালিকায় রয়েছে কিশোরীর বন্ধুও। পাশবিক অত্যাচারে জ্ঞান হারায় কিশোরী। তখনই অভিযুক্তরা তাঁকে একা ফেলে রেখেই চম্পট দেয়। দীর্ঘসময় অচৈতন্য থাকার পর জ্ঞান ফেরে কিশোরীর। কিশোরীর বয়ান অবনুযায়ী পরের দিন সকালে জ্ঞান ফেরে। তখন কোনও ক্রমে বাড়ি ফিরে আসে। কিশোরীকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। 

ঝাড়খণ্ড পুলিশের তরফ থেকে জানান হয়েছে বর্তমানে কিশোরীর চিকিৎসা চলছে। নির্যাতিতার অবস্থা মোটের ওপর স্থিতিশীল। অভিযুক্তদের খোঁজে চলছে তল্লাশি। তবে অভিযুক্তদের বয়স এখনও জানা যায়নি। তবে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।