করোনাভাইরাস মোকাবিলায় লকডাউন নিয়ে মা ও ছেলে কেউই দ্বিমত প্রকাশ করেননি। কিন্তু প্রথম দফার লকডাউন শেষ হওয়ার আগে দুজনেই সরব হলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। মা অবশ্য কোনও দাবি জানননি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। তবে ছেলে চেয়েছেন স্মার্ট লকডাউন।
জাতির উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ দেওয়ার আগেই কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধি একটি ভিডিও বার্তা পাঠান। মারাত্ম ছোঁয়াচে এই জীবানুর বিরুদ্ধে ভারতবাসীর ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন এটাই তো দেশে প্রেম। যেখানে প্রত্যেক দেশের প্রতিটি মানুষ কোনও না কোনও ভাবে এই লড়াইয়ে সামিল হয়েছেন। পাশাপাশি জরুরী পরিষেবা প্রদানকারীদেরও কৃতজ্ঞতা জানান। নাম না করে অবশ্য কিছুটা খোঁচাও দেন কেন্দ্রীয় সরকারকে। তিনি বলেন এখনও পর্যন্ত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের পর্যাপ্ত পার্সোনাল প্রোটেকশান ইকিউপমেন্ট নেই। কিন্তু তারপরেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি সাফাইকর্মীদেরও ধন্যবাদ জানান সনিয়া। একই সঙ্গে পুলিশসহ জওয়ানদেরও কৃতজ্ঞতা জানান কংগ্রেস সভানেত্রী। এদিন ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন দেশের মানুষের এই লড়াইয়ে পাশে রয়েছে কংগ্রেস।
প্রথম থেকেই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সনিয়া গান্ধি। তবে বেশ কিছু পরামর্শও দেন তিনি। গতকালও প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠি লেখেন তিনি। সেখানে দেশের সকল মানুষের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করার আর্জি জানিয়েছেন সনিয়া।
আরও পড়ুনঃ জরুরী পণ্য পরিষেবা চালু রাখতে রো-রো সার্ভিস , ভিডিও ট্যুইট করে জানালেন রেলমন্ত্রীআরও পড়ুনঃ 'ডেনমার্কের রাজকুমার ছাড়াই হ্যামলেট', ত্রাণের জন্য সওয়াল করে লকডাউন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা কংগআরও পড়ুনঃ ২৪-এর সাধারণ নির্বাচন বাতিলের আর্জি, আর্থিক সংকট থেকে দেশকে বাঁচাতে মোদীর ওপর ভরসা রঙ্গোলীরকিছুটা হলেও চড়া সুর কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধির। তিনি অবশ্য গতকালই একটি ট্যুইট করেন। সেখানে বলেন এতদিন গোটা দেশের জন্য একই নিয়মে লকডাউন জারি করা হয়েছিল। যা কয়েক হাজার কৃষক, অভিবাসী শ্রমিক, শ্রমিক, ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য চরম দুর্দশা ও দুর্ভোগ ডেকে এনেছে । আগামী দিনে আরও উন্নত ও স্মার্ট লকডাউনের জন্যই দরবার করেছেন তিনি। তাঁর কথায় হটস্পটগুলিকে চিহ্নিত করার জন্য গণ পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছেন। আর তাতে যে অঞ্চল নিরাপদ প্রমানিত হবে সেখানে স্বাভাবিক জীবন ধীরে ধীরে ফিরিয়ে দেওয়া হোক।
এই দিনই প্রধানমন্ত্রী লকডাউনের মেয়াদ আগামী ৩ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। পাশাপাশি জানান হয়েছে কী পরদ্ধতিতে লকডাউন চলবে তা আগামিকাল ঘোষণা করা হবে।