দেশের কোভিড যুদ্ধে ঝাঁপিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় দেশের বিভিন্ন অংশে কোভিড যুদ্ধে লড়ছে সেনাবাহিনী। এমন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ কোভিড যুদ্ধে সেনাবাহিনীর কাজ নিয়ে বৈঠক করেন সেনা প্রধান মুকুন্দ নরভানের সঙ্গে। কোভিড ম্য়ানেজমেন্টে ভারতীয় সেনা কী কী ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে, এবং সেই উদ্যোগের কাজগুলি কেমন চলছে তারই পর্যালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: খারাপের দিকেই যাচ্ছে দেশের করোনা পরিস্থিতি, আক্রান্ত রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীও
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সেনা প্রধান জানান, দেশের বিভিন্ন রাজ্য সরকারগুলির প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর চিকিৎসাকর্মীরা নিজেদের নিয়োজিত করছেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সেনাবাহিনী অস্থায়ী হাসপাতালেও গড়ছে। কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যখনই কোথাও অক্সিজেন কন্টেনার বা ট্যাঙ্কার বহনের কাজের প্রয়োজন পড়ছে সেখানে ঝাঁপিয়ে পড়ছে সেনাবাহিনী। এদিকে, দেশের করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে গেল। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নয়া আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৭৯ হাজার ২৫৭ জন। এই নিয়ে টানা ৯দিন দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষের উপরে থাকল। দৈনিক আক্রান্তের হিসেবে ৪ লক্ষের খুব কাছে দেশ।
আরও পড়ুন: ভোট বড় বালাই, তাই Covid+ রিপোর্ট নিয়েই ভোটের ডিউটিতে আশা কর্মী
গতকাল কোভিডের বিরুদ্ধে 'অদৃশ্য যুদ্ধে' প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতীয় বায়ুসেনার চিফ মার্শাল রাকেশ কুমার সিং ভাদুড়িয়ার সঙ্গে বৈঠক সারেন। বৈঠকে ভারতীয় বায়ুসেনা (IAF)- কীভাবে কোভিড যুদ্ধে কাজ করছে, আগামীর কৌশল কী হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়। দেশের এক জায়গা থেকে অন্যত্র অক্সিজেন বা করোনা যুদ্ধে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়ার কাজে বায়ুসেনা ২৪x৭ নিয়োজিত আছে বলে প্রধানমন্ত্রীকে জানান তিফ মার্শাল ভাদুড়িয়া। শুধু দেশ নয় দেশের বাইরেও ভারতের .কোভিড যুদ্ধে কোনওরকম প্রয়োজন হলেই বায়ুসেনা কর্মীরা যাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে সেনাপ্রধান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৬৪৫ জনের। এখনও পর্যন্ত দেশের ১ কোটি ৮০ লক্ষেরও বেশি মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গত ১৫ এপ্রিল থেকে দৈনিক ২ লক্ষের বেশি মানুষ করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। যা ২৩ এপ্রিল থেকে দৈনিক ৩ লক্ষ আক্রান্তের চৌকাঠে ঢুকে পড়েছে। এর ফলে কিছু জায়গায় দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে। হাসপাতালে বেডের অভাব, অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর মত ঘটনা ঘটেছে।