কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে উত্তর পূর্ব ভারতের তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। এই অবস্থা সামলাতে বিভিন্নস্তরে মিটিং করছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের বিভিন্ন রাজ্য, জেলার কোভিড পরিস্থিতি পরিসংখ্যান বিচার করে দেখছেন, নিচ্ছেন খুঁটিনাটি খোঁজ। সেই মত ত্রিপুরা, মনীপুর ও সিকিমের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বললেন মোদী। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব, মনিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিং ও সিকিমের মুখ্যমন্ত্রীব প্রেম সিং তামাংয়ের সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: করোনার সঙ্গে কঠিন লড়াই, ২ কোটির অনুদান বিরাট অনুষ্কার, ভক্তদের উদ্দেশে কী বার্তা দিলেন
ত্রিপুরা: অন্য রাজ্যের তুলনায় কোভিড পরিস্থিতি কিছুটা ভাল হলেও, পজেটিভ কেসের সংখ্যা বাড়ায় চিন্তা বাড়ছে। গত ২২ এপ্রিল থেকে রাজধানী আগরতলায় চলছিল নাইট কার্ফু। পরে সেটি রাজ্যের অন্য শহরাঞ্চলেও নাইট কার্ফু করা হয়। সরাকরী অফিস খোলা থাকছে সকাল ১০টা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত, ৫০% কর্মী নিয়ে।
আরও পড়ুন: করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গে অনিবার্য জাতীয় লকডাউন, চিঠিতে সাহায্যের আর্জি রাহুল গান্ধীর
সিকিম: করোনার দ্বিতীয় ঢেউটা শুরু সেভাবে আছড়ে না পড়লেও ক্রমেই জটিল হচ্ছে সিকিমেরক কোভিড পরিস্থিতি। তবে দিন যত যাচ্ছে পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সিকিমে ২৬৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। যা রাজ্যে রেকর্ড। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী সিকিমে করোনায় মোট ১৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। পূর্ব সিকিমের অবস্থা অন্য অংশের তুলনায় খারাপ। সেখানে ১৪৮ জনের নয়া সংক্রমণের খবর মিলেছে। সেখানে দক্ষিণ সিকিমে ৯০, পশ্চিম সিকিমে ১৯ ও উত্তর সিকিমে ৭জন আক্রান্ত হয়েছেন। সিকিমে এখনও পর্যন্ত সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২,২৫৬ জন। রাজ্যজুড়ে দারি হয়েছে কড়া নিয়ন্ত্রণ।
মনিপুর--মনিপুরের করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তর পূর্ব ভারতের এই রাজ্যে ৩৮০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। গত একদিনে কোভিডের কারণে ১৩ জন মারা গিয়েছেন। রাজ্যের রাজধানী ইম্ফল জুড়ে জারি হয়েছে কড়া করোনা বিধি।