Precautionary Dose: সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য দেওয়া হবে না বুস্টার ডোজ - তবে কেন, কী বলল কেন্দ্র

সংক্রমণ ঠেকাতে দেওয়া হচ্ছে না করোনা টিকার 'সতর্কতামূলক ডোজ' (Precautionary Dose)। তবে কেন দেওয়া হচ্ছে বুস্টার ডোজ (Booster Dose), কী জানালেন আইসিএমআরের (ICMR) ডিরেক্টর ডা. বলরাম ভার্গব (Dr Balram Bhargava)? 
 

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য করোনা টিকার 'সতর্কতামূলক ডোজ' (Precautionary Dose) বা বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার সাফ জানিয়ে দিলেন আইসিএমআরের (ICMR) ডিরেক্টর ডা. বলরাম ভার্গব (Dr Balram Bhargava)। তিনি আরও জানিয়েছেন, বুস্টার ডোজ রোগের প্রভাব কমিয়ে দিতে পারে, কিন্তু তারা করোনভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ করে না। তিনি বলেন, ভারত, ইসরাইল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, যুক্তরাজ্য বা চিনের - যেখানকারই কোভিড ভ্যাকসিন (Coronavirus Vaccine) হোক না কেন, সেগুলি প্রাথমিকভাবে রোগ-সংশোধনকারী। তারা সংক্রমণ প্রতিরোধ করে না। সতর্কতামূলক ডোজটি প্রাথমিকভাবে আক্রান্তের হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যু প্রতিরোধ করার জন্য দেওয়া হচ্ছে। 

আইসিএমআরের ডিরেক্টর সাফ জানান, টিকা দেওয়ার আগে এবং পরে মাস্ক ব্যবহার করা আবশ্যক এবং জনসমাগম এড়িয়ে চলা উচিত। করোনাভাইরাসের আগের স্ট্রেনগুলির সময় চিকিত্সার যে নির্দেশিকা ছিল, বর্তমানে ওমিক্রন (Omicron) আসার পরও তা, পাল্টায়নি। হোম আইসোলেশন এখনও করোনা যুদ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। প্রসঙ্গত, আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে ভারতে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের বুস্টার শট দেওয়া শুরু হবে। ফ্রন্টলাইন কর্মী এবং সহ-অসুস্থতা থাকা ৬০ বছরের বেশি বয়সী প্রবীণ নাগরিকদের এই ডোজ দেওয়া হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক বলেছে, যোগ্য বয়সগোষ্ঠীর মানুষদের সতর্কতামূলক ডোজ দেওয়া শুরু হওয়ার পরই তা নেওয়ার জন্য স্মরণ করিয়ে দিতে এসএমএস পাঠানো হবে।

Latest Videos

সতর্কতামূলক ডোজের পাশাপাশি ২০২২ সালের ৩ জানুয়ারি থেকে ভারতে শিশুদের টিকাকরণের প্রথম পর্যায় শুরু হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে টিকা দেওয়া হবে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের। তার জন্য কীভাবে কোইউন অ্যাপে নাম নথিভুক্ত করতে হবে, তা জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। বুস্টার ডোজের ক্ষেত্রে প্রবীন নাগরিকদের সহ-অসুস্থতা প্রমাণের জন্য মেডিকাল সার্টিফিকেট দিতে হবে বলে জানানো হয়েছিল। পরে অবশ্য সেই নিয়ম সংশোধন করে বলা হয়েছে, কোনও ডাক্তারি সংশাপত্র লাগবে না।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল (Lav Agarwal) বলেছেন, বর্তমানে ভারত প্রতিদিন ১০,০০০ এর বেশি নতুন কোভিড-১৯ কেস রিপোর্ট করা শুরু করেছে। ক্রমবর্ধমান কোভিড-১৯ কেসের জন্য মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, দিল্লি, কর্ণাটক এবং গুজরাটে রাজ্য নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। বৃহস্পতিবার, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, ভারত গত ২৪ ঘন্টায় ১৩,১৫৪ টি নতুন কোভিড-১৯ কেস সনাক্ত করেছে এবং এই সময়ে ২৬৮ জন এই মহামারি রোগের বলি হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত ভারতে মোট ৯৬১ টি ওমিক্রন কেস রয়েছে। সর্বাধিক ওমিক্রন সংক্রমণের ঘটনা দিল্লি (২৬৩) এবং মহারাষ্ট্র (২৫২) থেকে রিপোর্ট করা হয়েছে।


 

Share this article
click me!

Latest Videos

'জয় শ্রীরাম' ধ্বনিতে মুখরিত বাংলাদেশ! হিন্দু নেতার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে উত্তাল Bangladesh
দেখা যাক ২৬-এর মসনদ কার দখলে যায়? Mamata-কে চ্যালেঞ্জ Agnimitra-র
'ভোট ব্যাঙ্কের জন্য Mamata রোহিঙ্গাদের হিন্দুদের জমি দিচ্ছে' বিস্ফোরক অভিযোগ Agnimitra-র
তন্ত্রযোগ? নাকি বৌমা ও ছেলেকে শিক্ষা দিতেই...আটক দাদু, ঠাকুমা ও জেঠিমা | Hooghly News Today
চিন্ময় প্রভুর মুক্তির দাবিতে বিধানসভায় বিক্ষোভ Suvendu-র! | Suvendu Adhikari