
কোভিড সুনামির মধ্যে দেশব্যপী লকডাউন জারি দাবি উঠছে বিভিন্ন অংশ থেকে। কিন্তু, এদিনই সিএমআইই-এর রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, স্থানীয়ভাবে আংশিক লকডাউনের জেরেই গত একমাসে কাজ হারিয়েছেন ৭০ লক্ষ মানুষ। এই অবস্থায় সারা দেশে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা সম্ভব নয় বলে মেনে নিয়েছেন এইমএস-এর ডিরেক্টর ডা. রণদীপ গুলেরিয়া। তবে, কয়েকটি জায়গায় কড়াভাবে লকডাউন জারি করতেই হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
কোথায় কোথায়? ডা. গুলেরিয়া বলেছেন, দেশের যেসব অঞ্চলে কোভিড-১৯ ইতিবাচকতার হার ১০ শতাংশের থেকে বেশি, অর্থাৎ মোট পরীক্ষা করা রোগীর ১০ শতাংশের বেশি যদি কোভিড পজিটিভ হন, তবে সেখানে এখনই কড়া হাতে লকডাউন জারি করা দরকার। আর লকডাউন করতে হবে, যেসব এলাকায় হাসপাতালের মোট কোভিড শয্যার ৬০ শতাংশের বেশি ভর্তি হয়ে গিয়েছে, সেই সব এলাকায়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকায় তা বলা থাকলেও অধিকাংশ জায়গাতেই তা রয়েছে কার্যকর করা হচ্ছে না, বলে দাবি করেছেন তিনি।
ডা. গুলেরিয়া জানিয়েছেন, এতে করে কার্যকরভাবে ইতিবাচকতার হার হ্রাস পাবে। তারপর এইসব অঞ্চলে ধীরে ধীরে ধাপে ধাপে আনলক করতে হবে। পাশাপাশি, সংক্রমণের বিস্তার রোধে, উচ্চ পজিটিভিটি হার রয়েছে এমন অঞ্চলগুলি থেকে কম পজিটিভিটি রেটযুক্ত জায়গায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হবে। তাঁর মতে, কম ইতিবাচকতার হার থাকা এলাকাগুলিতে প্রতিদিনে কাজকর্ম চলার অনুমতি থাকা উচিত। স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় চাপ না পড়া পর্যন্ত লকডাউন জারি করার দরকার নেই।
ভারতের সামনে এখন একইসঙ্গে দুই বিপর্যয়। মাত্র ১৫ দিনের মধ্যেই ভারতে ৫০ লক্ষেরও বেশি সংক্রমণের সংখ্য়া বৃদ্ধি পেয়েছে। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটির মাইলফলক অতিক্রম করেছে। একেকদিনে সাড়ে ৩ লক্ষের বেশি মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন, সাড়ে ৩ হাজারের কাছাকাছি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। পাশাপাশি, চাপ পড়ছে অর্থনীতিতে। দ্রুত হারে বাড়ছে বেকারত্ব। এই দুই-এর মধ্যে ভারসাম্য রাখতে বেশ কয়েকটি রাজ্যে এখন রাত্রীকালীন কার্ফু এবং সপ্তাহান্তে লকডাউন-এর মতো কৌশল নিচ্ছে। তবে, এই ধরণের পদক্ষেপ, সংক্রমণের শৃঙ্খলার উপর তেমন কোনও প্রভাব ফেলতে পারবে না বলেই, সাফ জানিয়েছেন ডা. গুলেরিয়া।