নগ্ন হয়ে নার্সের কাছে দাবি করছেন বিড়ি, তবলিগ জামাতে অংশগ্রহণকারীর নিয়ে ফাঁপরে হাসপাতাল

  • তবলিগ জামাতে অংশগ্রহণকারীদের রাখা হয়েছে পর্যবেক্ষণে
  • আইসোলেশনে থাকা এই রোগীদের নিয়ে নাজেহাল হাসপাতাল
  • হাসপাতালের ভিতের নগ্ন হয়ে ঘুরছেন তারা
  • নার্সদের দেখে চলছে  গানের সঙ্গে  কুইঙ্গিত

Asianet News Bangla | Published : Apr 3, 2020 7:29 AM IST / Updated: Apr 03 2020, 01:03 PM IST

দিল্লির নিজামুদ্দিন এলাকার তবলিগ জামাতে অংশগ্রহণকারীরা ছড়িয়ে পড়েছেন দেশের সর্বত্র। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আটকাতে তাই তাদের চিহ্নিত করে আইসোলেশেন পাঠানের কাজ চালাচ্ছে সব রাজ্যের প্রশাসনই। গাজিয়াবাদের কয়েকজন উৎসাহী মানুষও অংশ নিয়েছিল এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে। স্থানীয় প্রশাসন তাদের চিহ্নিত করে হাসপাতালের কোয়ারেন্টইনে পাঠিয়েছে। কিন্তু তাতেও নাকি স্বস্তি মিলছে না। পর্যবেক্ষণে থাকা এইসব ব্যক্তিত্বদের বিরুদ্ধে এবার অশালীন আচরণের অভিযোগ তুলছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

সম্প্রতি গাজিয়াবাদ বাসপাতালের চিফ মেডিক্যাল অফিসার একটি চিঠি দিয়েছেন স্থানীয় পুলিশকে। যাতে দাবি করা হয়েছে, তবলিগ জামাত মার্কেজে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে কয়েকজনকে রাখা হয়েছে গাজিয়াবাদ হাসপাতালে, আর পর্যবেক্ষণে থাকা এই সব ব্যক্তিরা নিয়মিত অভব্য আচরণ করে চলেছেন হাসপাতাল কর্মীদের সঙ্গে। 

করোনা যুদ্ধে এবার মাত্র ৯ মিনিট সময় চাইলেন মোদী, দেশবাসীকে কী বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী

'গোটা দেশের হয়ে ক্ষমা চাইছি', উত্তর-পূর্বের মানুষের কাছে হাতজোড় করলেন ভারত অধিনায়ক

বেলা বোস বাড়িতেই থেকো, সচেতনতা বাড়াতে এবার অঞ্জন দত্তের ভূমিকায় কলকাতা পুলিশ, ভাইরাল হল ভিডিও

আইসোলেশনে থাকা এই ব্যক্তিদের অভব্য আচরণের শিকার হতে হচ্ছে নার্সদেরও। এমনকি তাঁদের করা হচ্ছে  কুইঙ্গিতও। এমনটাই নিজের চিঠিতে উল্লেখ করছেন সিএমও। 

গাজিয়াবাদের এমএমজি জেলা হাসপাতালের সিএমও-র কথায়, " করোনা সংক্রমণ যাতে না ছড়ায় সেকরাণে মার্কেজের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া এইসব ব্যক্তিদের হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে, কিন্তু এখানে তারা অভব্য আচরণ শুরু করেছেন, সম্ভাব্য এই করোনা রোগীরা প্যান্ট খুল নগ্ন হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, হাসপাতালের ভিতরে গাইছেন কুরুচিকর সব গান।" 

 

 

শুধু তাই নয় সিএমও নিজের চিঠিতে আরও অভিযোগ করেছেন, হাসপাতালে কর্মরত নার্সদের কুইঙ্গিত করা হচ্ছে, দাবি করা হচ্ছে সিগারেট। "এই পরিস্থিতিতে, তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।" স্পষ্ট জানাচ্ছেন ওই বরিষ্ঠ আধিকারিক। 

এই অভিযোগ সামনে আসতেই গাজিয়াবাদের পুলির সুপার এবং অতিরিক্ত জেলা শাসক বিষয়টি তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টিকে কোনও ভাবেই হালকা করে দেখা হবে না বলে জানিয়েছেন গাজিয়াবাদের সিনিয়র সুপারিন্টেনডেন্ট অব পুলিশ কালিন্দী নইথানি। ইতিমধ্যে তদন্তের কাজ শুরু করেছেন এডিএম শৈলেন্দ্র সিং এবং সুপারিন্টেনডেন্ট অব পুলিশ (সিটি) মণীশ মিশ্রা। 

Share this article
click me!