করোনা যুদ্ধে বিরাট সাফল্য ত্রিপুরার
রাজ্যে ৪৫ ঊর্ধ সকলে পেয়ে গিয়েছেন করোনা টিকার একটি করে ডোজ
ভারতের আর কোনও রাজ্যের এই সাফল্য নেই
সকলকে টিকা দেওয়া প্রথম রাজ্য হোক ত্রিপুরা, চেয়েছিলেন বিপ্লব দেব
২১ জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবস এবং তার পরের দিন- এই দুদিনের বিশেষ কোভিড টিকাকরণ অভিযানের ফলে এক অনবদ্য মাইলফলক অতিক্রম করল ত্রিপুরা। ভারতের প্রথম রাজ্য হিসাবে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য ৪৫ বছরের ঊর্ধ বয়স গোষ্ঠীর মধ্যে ১০০ শতাংশকে করোনা টিকার অন্তত একটি ডোজ দেওয়ার সাফল্য অর্জন করল। যোগ দিবসের বিশেষ টিকাকরণ অভিযান শুরু হয়েছিল ১৮ ঊর্ধ সকলের জন্য। তার মধ্য়েই এই কৃতিত্ব অর্জন করল ত্রিপুরা।
আগেই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেব বলেছিলেন, জনসংখ্যার ১০০ শতাংশকে সম্পূর্ণরূপে টিকাদানকারী রাজ্য হিসাবে দেশের মধ্যে প্রথম হতে চায় তাঁদের রাজ্য। সেই লক্ষ্যের পথেই একধাপ এগোল ত্রিপুরা। রাজ্যটির মোট জনসংখ্যা মাত্র ৪২ লক্ষ। এরমধ্যে ২৩.৯৪ শতাংশ মানুষের বয়স ৪৫ থেকে ৬০-এর মধ্যে। গত ১ এপ্রিল থেকে এই বয়সগোষ্ঠীকে টিকা দেওয়া শুরু করেছিল ত্রিপুরা। ২২ জুন পর্যন্ত ৪৫-ঊর্ধ ১৮.৩৩ লক্ষ মানুষকে করোনা টিকার অন্তত একটি করে ডোজ দিয়েছে তারা। এর মধ্যে আবার ৫.৬২ লক্ষ মানুষ দ্বিতীয় ডোজও পেয়েছেন।
এই সাফল্যের পর মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেব টুইটারে লিখেছেন, 'অভিনন্দন ত্রিপুরা।' তিনি জানান, দক্ষিণ হুরুয়া, লক্ষ্মীনগর এবং কালাচেরা ব্লকের গোবিন্দপুর, যুবা রাজনগর ব্লকের পশ্চিম তিলথাই এবং উত্তর ত্রিপুরার পানিসাগর ব্লকের অগ্নিপাশা - এই পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতে সম্পূর্ণরূপে টিকা দেওয়া হয়েছে।
২১ জুন ত্রিপুরায় মোট ১,৫৪,২০৯ টি ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। পরের দিন দেওয়া হয়েছে ১,৮৫,৫৫৯ টি ডোজ। সব মিলিয়ে দুদিনে ৩,৩৯,৭৬৮ টি ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে, যা রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ১২ শতাংশ। ২০২০ সালের মার্চ মাসে ত্রিপুরায় প্রথম করোনা সংক্রমণের ঘটনা ধরা পড়েছিল। তারপর থেকে এতদিনে মোট ৬৩,১৩৭ টি করোনা সংক্রমণের ঘটনা এবং করোনাজনিত কারণে ৬৫৫ জনের মৃত্যুর কথা নথিবদ্ধ করা হয়েছে। বর্তমানে এই রাজ্যে ৩,৭৮৫ জন করোনা রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।