করোনা সন্দেহ না ব্যবসায় ক্ষতি, স্পষ্ট নয়, কোয়ারেন্টাইন থেকে মরণ ঝাঁপ ব্যবসায়ীর

  • আইসোলেশন ওয়ার্ডেই আত্মহত্যা 
  • ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা
  • করোনা সন্দেহে আত্মহত্যা না ব্যবসায়ে ক্ষতির কারণে আত্মহত্যা স্পষ্ট নয়
  • রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা শাসক

তাঁকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কিনা জানতে নমুনা পাঠান হয়েছিল পরীক্ষার জন্য। কিন্তু অপেক্ষা আর সহ্য করতে পারলেন না। তীব্র উৎকণ্ঠায় কোয়ারেন্টাইনে থাকা অবস্থাতেই একটি নির্মীয়মান বাড়ির ওপর ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করলেন করমবীর সিং নামের ওই ব্যক্তি। উত্তর প্রদেশের শামলি জেলা এই ঘটনা সামনে আসতে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। শামলির জেলা  শাসক,যশজিত কৌর জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের কয়েকটি লক্ষ্ণণ দেখা গিয়েছিল। রাখা হয়েছিল কোয়ারান্টানে। কিন্তু সেখান থেকেই আত্মহত্যা করে এক ব্যক্তি। তাঁর রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। পাশাপাশি চলছে তদন্তও।

 

আত্মঘাতী করমবীর সিং ছিলেন সবজি ব্যবসায়ী। দিল্লিতে চলছে তাঁর ব্যবসা বাণিজ্য। কিন্ত লকডাউন ঘোষণার পরই দিল্লির পাততাড়ি গুটিয়ে ফেলেছিলেন করমবীর সিং। দিন দুই আগে ফিরতে পেরেছিলেন নিজের গ্রামে। তারপর থেকেই তাঁর শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ভর্তি করা হয় স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে। রাখা হয় আইসোলেশন ওয়ার্ডে। সংগ্রহ করা হয় করমবীর সিং-এর নমুন। যা পরীক্ষার জন্য পাঠান হয়েছে মিরাট মেডিক্যাল করেজ হাসপাতালে। কিন্তু পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও আসেনি বলেই জানিয়েছেন জেলাশাসক। তবে হাসপাতালে দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের নজর এড়িয়ে কী করে তিনি ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করলেন তাও খতিয়ে দেখা হবে বলেই জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। সাহারনপুরের কমিশনার জানিয়েছেন লকডাউন জারি হওয়ায় ব্যবসায় প্রচুর টাকার ক্ষতি হয়েছিল তাই আত্মহ্যতা করেছে সবজি বিক্রেতা। দেহ পাঠান হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। 

আরও পড়ুনঃ করোনা থেকে রেহাই নেই সদ্যোজাতর, মুম্বইতে আক্রান্ত ৩ দিনের শিশু ও মা

আরও পড়ুনঃ সামাজিক দূরত্বকে বুড়ো আঙ্গুল, হাসপাতালের কোয়ারেন্টাইনেই চলল একসঙ্গে নামাজ পাঠ

লকডাউন ঘোষণার পরই কাজ হারিয়েছেন বহু দিনমজুর। একই সঙ্গে হারিয়েছেন খাবার ও নিরাপদ আশ্রয়। তাই লকডাউনের মধ্যেও বাড়ি ফিরতে উদগ্রীব ছিলেন অভিবাসী শ্রমিকরা। ট্রেন ও বাস না থাকায় অনেক অভিবাসী শ্রমিকও পায়ে হেঁটে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। জাতীয় সড়কে দেখা গিয়েছিল শ্রমিকদের লম্বা নাইল। এইকই ছবি ছিল দিল্লির আনন্দ বিহারসহ একাধিক বাসস্ট্যান্ডে। যেখানে বাড়ি ফিরতে উদগ্রীব শ্রমিকরা লম্বা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন।  তাঁদের মধ্যেই হয়তো একজন ছিলেন করমবীর। তবে তাঁর মৃত্যুতে রীতিমত শোকস্তব্ধ তাঁর পরিবার। 


 

Share this article
click me!

Latest Videos

‘সরকারকে প্রশ্ন করলেই সরকার উলঙ্গ হয়ে যাবে!’ বক্তব্য রাখতে না দেওয়ায় বিস্ফোরক Sajal Ghosh
Mamata Banerjee Live: নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা, দেখুন সরাসরি
‘অনেকদিন পর কেষ্টদা ফিরেছে তাই একটু বিশৃঙ্খলা হচ্ছে’ অদ্ভুত ব্যাখ্যা Satabdi-র! | Satabdi Roy News
উপনির্বাচনে (By Election) কেমন ফল করবে বিজেপি? দেখুন কী বললেন শুভেন্দু | Suvendu Adhikari
Bear Rescue Operation | বরফের মধ্যে ভাল্লুকের প্রান বাঁচাল ভারতীয় সেনা, দেখুন দুঃসাহসিক ভিডিও