
নভেল করোনাভাইরাস আক্রান্ত হলেন দেশের উপরাষ্ট্রপতি এম বেঙ্কাইয়া নাইডু (Vice president M Venkaiah Naidu )। রবিবার তাঁর কোভিড-১৯ (COVID-19) পরীক্ষার রিপোর্ট ইতিবাচক এসেছে বলে জানানো হয়েছে। তবে, তাঁর গুরুতর অসুস্থতা নেই। তাই আপাতত তাঁকে বাড়িতেই আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। আগামী অন্তত এক সপ্তাহের বেঙ্কাইয়া নাইডু নিভৃতবাসেই থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।
উপরাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে এদিন টুইট করে বলা হয়, উপরাষ্ট্রপতি এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু এই মুহূর্তে হায়দরাবাদে (Hyderabad) আছেন। তাঁর কোভিড-১৯ পরীক্ষা রিপোর্ট ইতিবাচক এসেছে। এক সপ্তাহ স্ববিচ্ছিন্নতায় থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে গত কয়েকদিনে যাঁরা তাঁর সংস্পর্শে এসেছেন, তাঁদের তিনি নিজেদেরকে স্ববিচ্ছিন্ন করে পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিয়েছেন।
এদিন, সকালেও উপরাষ্ট্রপতির অসুস্থতার কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। নেতাজির ১২৫তম জন্মদিবসে, হায়দরাবাদেই তিনি নেতাজিকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। সেখানে তিনি বলেন, নেতাজি মাতৃভূমির জন্য নিঃস্বার্থ নিবেদনের মূর্ত প্রতীক। সমগ্র দেশ পরাক্রম দিবসে এই কিংবদন্তী নেতাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে এবং অভিবাদন জানায়। দিল্লিতে (Delhi) ইন্ডিয়া গেটে (India Gate) নেতাজির মূর্তি স্থাপনের বিষয়ে মোদী সরকারের (Modi Government) উদ্যোগের দারুণ প্রশংসা করে তিনি বলেছিলেন, ওই মূর্তিটি একটি নেতাজির প্রতি উপযুক্ত শ্রদ্ধাঞ্জলি, দেশের ঋণের স্বীকারের প্রতীক। নেতাজিকে স্মরণ করে কেন্দ্রীয় সরকার যে এই বছর থেকে ২৩ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারও প্রশংসা করেছিলেন তিনি। এরপরই তাঁর এই অসুস্থতার খবর পাওয়া।
ভারতের দৈনিক কোভিড-১৯ (COVID-19) সংক্রমণের সংখ্যায় এদিন সামান্য উন্নতি ঘটেছে। এদিন দেশে দৈনিক নতুন আক্রান্তের সংখ্য়া ৩.৩৩ লক্ষে দাঁড়িয়েছে। গতকালের তুলনায় সংখ্যাটা সামান্য হলেও কম। সব মিলিয়ে ভারতের মোট করোনা আক্রান্তের পৌঁছেছে ৩.৯২ কোটিতে। করোনায় বিশ্বের সবথেকে ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলির তালিকায় এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। দেশের সক্রিয় কেস অর্থাৎ চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা বর্তমানে ৫.৫৭ শতাংশ। জাতীয় গড় সুস্থতার হার ৯৩.১৮ শতাংশে নেমে এসেছে।
দৈনিক ইতিবাচকতার হার, অর্থাৎ প্রতিদিন যত পরীক্ষা হচ্ছে তার মধ্যে কতজন ইতিবাচক সনাক্ত হচ্ছেন, এটি মহামারির গতির সূচক বলে ধরা হয়। ভারতে দৈনিক ইতিবাচকতা হার এখন ১৭.৭৮ আর সাপ্তাহিক ইতিবাচকতার হার ১৬.৬৫ শতাংশ। ভারতে উপরাষ্ট্রপতির আগে শীর্ষ নেতাদের কেউই করোনা আক্রান্ত হননি। এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ একমাত্র করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন।