শসা রফতানিতে বিশ্বের শীর্ষে ভারত, লাভের মুখ দেখছেন কৃষকরা

ভারত বর্তমানে ২০টিরও বেশি দেশে ক্ষীরা রফতানি করে। উত্তর আমেরিকা ও উইরোপের অধিকাংশ দেশেই ক্ষীরার রফতানি করা হয়। মার্কিন য়ুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি অস্ট্রেলিয়া স্পেন, দক্ষিণ কোরিয়া, কানাডা, জাপান, বেলজিয়াম, রাশিয়া, চীন, শ্রীলঙ্কা, ইজরায়েল। রফতানি ছাড়াও ক্ষীরা ও শসা বর্তমানে গ্রামীণ শিল্পে পরিণত হয়েছে। 

Web Desk - ANB | Published : Jan 23, 2022 9:48 AM IST / Updated: Jan 23 2022, 07:40 PM IST

২০২১ সালে ভারতে (India) বিশ্বের বৃহত্তর (World Largest) শসা (Cucumber) রফতানিকারক (exporter) দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। চলতি অর্থবর্ষে  এই দেশ এখনও পর্যন্ত প্রায় ১১৪ মিলিয়ন ডলার মূল্যর শসা রফতানি করেছে বিদেশে। সবমিলিয়ে প্রায় ১.২৩.৮৪৬ মেট্রিকটন শসা রফতানি কর হয়েছে। শসার পাশাপাশি ক্ষীরাও (Gherkins) রফতানি করা হয়েছে। ভারত গত আর্থিক বছরে কৃষিজাত পণ্য পিকলিং শসা রফতানি করেছিল প্রায় ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২০-২১ সালে ভারত ২২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ২.২৩৫১৫ মেট্রিক টন শসা ও ক্ষীরা বিদেশে পাঠিয়ে ছিল। 

বাণিজ্য বিভাগ, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের জারি করা বিবৃতিত অনুসারে কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য রফতানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, পরিকাঠামো উন্নয়ন ও বিশ্ববাজার পণ্যের প্রচার ও প্রক্রিয়াকরণে খাজ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা মেনে চলার জন্য একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। 
 

দুই রকম শসা এই দেশ রফতানি করে। একটি শসা নামে পরিচিত অন্যটি ক্ষীরা। একটি ভিনিগার বা অ্যাসিটিক অ্যাসিড দ্বারা প্রস্তুত করা হয়। অন্যটি অস্থায়ীভাবে সংরক্ষিত করা হয়। ১৯৯০ সালে গোটার দিকে ভারত ক্ষীরার চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ চালু করেছিল। পাসাপাশি এটি অল্প পরিমাণে রফতানিও করত। কর্ণাটকে প্রথম এটির চাষ শুরু হয়েছিল। পরবর্তীকালে প্রতিবেশী রাজ্য তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলাঙ্গনায় ক্ষীরার চাষ শুরু হয়। বর্তমান বিশ্বের চাহিদার প্রায় ১৫ শতাংশ ক্ষীরা ভারতে তৈরি হয়। 

ভারত বর্তমানে ২০টিরও বেশি দেশে ক্ষীরা রফতানি করে। উত্তর আমেরিকা ও উইরোপের অধিকাংশ দেশেই ক্ষীরার রফতানি করা হয়। মার্কিন য়ুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি অস্ট্রেলিয়া স্পেন, দক্ষিণ কোরিয়া, কানাডা, জাপান, বেলজিয়াম, রাশিয়া, চীন, শ্রীলঙ্কা, ইজরায়েল। রফতানি ছাড়াও ক্ষীরা ও শসা বর্তমানে গ্রামীণ শিল্পে পরিণত হয়েছে। গ্রামীণ কর্মসংস্থানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছে। ভারতে প্রায় ৯০ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক চুক্তি চাষের অধীনে ক্ষীরা ও শসা চাষ করে। বছরে প্রায় ৬৫ হাজার একর এলাকায় এই ফসলগুলি চাষ হয়। প্রক্রিয়াজাত ক্ষীরা ও শসা শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে প্রচুর  পরিমাণে বয়াম সরবরাহ করতে হয়। ভারতে ভারতের প্রায় পাঁচটি বড় সংস্থা রেডি-টু-ইট কনজিউমার প্যাকে ক্ষীরা উৎপাদন ও রফতানি করে থাকে।  

প্রক্রিয়াজাত শাকসবজি রফতানির প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছে ভারত। যা উন্নয়ন ও প্রক্রিয়াজাত সশার গুণমান বৃদ্ধি, আন্তর্জাতিক পণ্যের প্রচার ও খদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে। একটি কৃষি ৪ মেট্রিক টন শসা উৎপাদন করছেন তার প্রায় ৪০ -৮০ হাজার টাকা লাভ করতে পারে। শসা ৯০ দিনের ফসল, তাই কৃষকরা চাইলে বছরে দুবার এই ফসল উৎপাদন করে বাকি সময় অন্য ফসল উৎপাদন করতে পারে। 

Pariksha Pe Charcha 2022: পরীক্ষা পে চর্চায় মোদীর সঙ্গে কথা, নাম নথিভুক্ত করার সময় বাড়ল

PM Modi On Start-up: স্টার্ট-আপ সংস্থাগুলিকে শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রী মোদীর, বললেন দেশে গর্বিত

UP Elections 2022: উত্তর প্রদেশ জোট ঘোষণা ওয়াইসির, ২ মুখ্যমন্ত্রীর তত্ত্ব তাঁর

Share this article
click me!