স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন বলছে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লক্ষ ৭৪ হাজার ২৮৫।
ধীরে ধীরে ফের করোনা ভয় কাটছে গোটা রাজ্যেই। এর আগে ২৪ জানুয়ারি সোমবার আবার পাঁচ হাজারের নীচে নামে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ২৫ জানুয়ারিও অব্যাহত থাকল পারাপতন। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে মোট চার হাজার ৪৯৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। আর তাতেই স্বস্তি ফিরেছে স্বাস্থ্য মহলে। এমনকী গত ২৪ ঘণ্টায় প্রচুর সংখ্যক টেস্ট বেশি হওয়ার পরেও পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রমণ কমে গেল। ফলে এক ধাক্কায় রাজ্যে সংক্রমণের হার নেমে এল ৭ শতাংশের নীচে। অন্যদিকে টেস্ট (Coronavirus Test) বাড়ার ফলে স্বাভাবিক ভাবেই কলকাতার সংক্রমণ (Corona infection in Kolkata) বাড়লেও তা থাকল ছ’শোর নীচে। এদিন প্রকাশিত স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন (Bulletin published by the Department of Health) বলছে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লক্ষ ৭৪ হাজার ২৮৫।
অন্যদিকে একদিনে সুস্থতার হার দাঁড়িয়েছে ৯৪.৯১ শতাংশ। করোনাকে গত ২৪ ঘণ্টায় হারিয়েছেন ১৮,৮২৫ জন। এই নিয়ে রাজ্যে মোট কোভিড মুক্ত হয়েছেন ১৮,৭৪,৭০৬ জন। যদিও এর মধ্যেই চিন্তা বাড়াচ্ছে মৃত্যুর সংখ্যা। আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও এখনও পর্যন্ত রাজ্যে বিশেষ কমছে কমছে না কোভিডে মৃত্যুর পরিমাণ। গত ২৪ ঘণ্টাতেও বাংলায় মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জনের। রাজ্যে দৈনিক মৃত্যু ৩৫ বা তার উপরেই রয়েছে বিগত সাত দিন ধরে। যা নিয়ে এখনও রয়েছে আতঙ্ক। এদিকে এদিনের করোনা বুলেটিন বলছে মঙ্গলবার কলকাতায় করোনার কবলে পড়েছেন ৫৯১ জন। কলকাতায় এখন মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ লক্ষ ৪১ হাজার ৬৫২। যদিও কলকাতা সংলগ্ন উত্তর ২৪ পরগনাতেও সোমবারের তুলনায় গত ২৪ ঘন্টায় আরও কমল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা।
আরও পড়ুন-শীতেও চলছে বৃষ্টির দাপট, রেহাই মিলবে কবে, কী বলছে হাওয়া অফিস
আরও পড়ুন-পদ্মশ্রীতে সটান না, গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের কাজের সমর্থন বাংলার সঙ্গীতমহলের
সোমবার এই জেলায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬৭৮। এবার মঙ্গলবার তা আরও কমে হল ৫৮৩। এদিকে রাজ্যে এদিন মোট মৃত্যুর মধ্যে এর মধ্যে কলকাতাতেই প্রাণ গিয়েছে সাত জনের। ৩৬ জনের মধ্যে একদিনে সবথেকে বেশি প্রাণ গিয়েছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার। ২৪ ঘণ্টায় ৯ জন মারা গিয়েছেন সেই জেলায়। তবে এর মধ্যেই সবথেকে বড় আশার কথা এই যে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহের পর এই প্রথমবার রাজ্যে সংক্রমণের হার তা ৭ শতাংশের ঘরে নেমে এসেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ৬৩ হাজার ১২৩টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। সব মিলিয়ে এদিন সংক্রমণের হার ছিল ৭.১২ শতাংশ।