সংক্ষিপ্ত
ইতিমধ্যেই সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের পদ্মশ্রী ফেরানোকে সমর্থন করেছেন অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, নচিকেতা চক্রবর্তী, অজয় চক্রবর্তীর মতো প্রথিতযশা শিল্পীরা।
রাজনীতিবিদ থেকে ক্রীড়াবিদ, সঙ্গীতশিল্পী সকলের হাতেই পদ্মশ্রী থেকে পদ্মবিভূষণ পুরষ্কার (Padma Bhushan Award, Padma Shri Award) তুলে দিতে চলেছে কেন্দ্র সরকার (Central Government)। ইতিমধ্যেই সামানে এসেছে প্রাপকদের তালিকা। এদিকে পুরষ্কারের কথা জানিয়ে সম্প্রতি দিল্লি থেকে ফোন করা হয় গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে (Singer Sandhya Mukherjee)। কিন্তু, সটান কেন্দ্রের পদ্মশ্রীতে না করে দিয়েছে বাংলার এই কৃতী সংঙ্গীতশিল্পী। যা নিয়েই বর্তমানে জোরদার চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন মহলে। সূত্রের খবর, মঙ্গলবারই তাঁর কাছে ফোন আসে এই সম্মান গ্রহণ করার জন্য। তখনই তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তিনি এই সম্মান গ্রহণ করতে পারবেন না। এদিকে বর্তমানে শারীরিক ভাবে অত্যন্ত অসুস্থ সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়।
অসুস্থতার কথার সূত্র ধরেই এদিন তিনি বলেন “এ ভাবে কেউ পদ্মশ্রী দেয়? এরা জানে না আমি কে! নব্বই বছরে আমায় শেষে পদ্মশ্রী নিতে হবে? আর এই ফোন করে বললেই চলে যাব আমি? শিল্পীদের কোনও সম্মান নেই আর।” সহজ ভাবে দেখতে গেলে পুরষ্কার ঘোষণার এক দিন আগে তাঁকে জানানো হয়, তিনি পদ্মশ্রী পাচ্ছেন। এই ঘটনাই তাঁর কাছে অত্যন্ত অপমানজনক বলে মনে হয়েছে। আর সেই কারণেই তিনি পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করছেন। এদিকে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের এই কাজে কেন্দ্রের অস্বস্তি যে বেড়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
আরও পড়ুন-শীতেও চলছে বৃষ্টির দাপট, রেহাই মিলবে কবে, কী বলছে হাওয়া অফিস
আরও পড়ুন-ভারতীয় সেনায় চাই বাঙালি রেজিমেন্ট, নেতাজির জন্মদিনেই মোদীকে চিঠি বাংলা পক্ষের
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এ যেন আবারও আটের দশকের ঘটনার পুনরাত্থাপন। সেইসময়ে একইভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে দেওয়া পদ্মশ্রী সম্মান ফিরিয়ে দিয়েছিলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। এবার সেই একই কাজ করলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। শাস্ত্রীয় সঙ্গীত থেকে সিনেমায় প্লে-ব্যাক, বেসিক গানের অ্যালবাম, তাঁর কাজের ব্যাপ্তি অনেকটাই। এর আগে ১৯৭১ সালে 'জয় জয়ন্তী' এবং 'নিশিপদ্ম' ছবিতে গান গেয়ে শ্রেষ্ঠ গায়িকা হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন সন্ধ্যা। এ ছাড়া ২০১১ সালে রাজ্য সরকার তাঁকে 'বঙ্গবিভূষণ' উপাধিতে সম্মানিত করে। এমনকি পঞ্চাশের শতকে উত্তম-সুচিত্রা ছবিতে সুচিত্রা সেনের লিপে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের গান ছিল অপরিহার্য। তাঁর স্বামী প্রয়াত গীতিকার শ্যামল গুপ্ত। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বাঙালি শুনে এসেছে তাঁর গান। সহজ কথায় আপামর বাঙালির কাছে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় কার্যত একটা আবেগ। এদিকে তার এই কাজকে ইতিমধ্যেই সমর্থন করেছেন অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, নচিকেতা চক্রবর্তী, অজয় চক্রবর্তীর মতো প্রথিতযশা শিল্পীরা।