সুকনা, নিউ জলপাইগুড়ি, শিমূলবাড়িতে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ। আর সেখানে চেকিংয়ের সময় যদি দেখা যায় কারও কাছে রিপোর্ট নেই বা টিকা নেওয়ার শংসাপত্র নেই তাহলেই তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
রাজ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপট একটু কম হওয়ার পরই ভিড় বাড়ছিল পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে। বিধিনিষেধ জারি থাকলেও বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর শর্ত মেনে ছাড় ঘোষণা করেছিলেন পর্যটনেও। এরপরই রাজ্যের অন্য পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়তে শুরু করেছিল দার্জিলিংয়ে। কিন্তু, তারপরই সেখানে বাড়তে থাকে করোনার সংক্রমণ। সেই থেকেই জেলায় কড়া বিধিনিষেধ লাগু করেছে প্রশাসন।
আরও পড়ুন- বৈঠকের আগে আগরতলার হোটেলে পুলিশ, 'আমরা কি জঙ্গি', প্রশ্ন ডেরেকের
করোনা সংক্রমণ এখন অনেকটাই নিম্নমুখী রাজ্যে। আর সেই কারণে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ভিড় বাড়ছিল শৈলশহরে। কিন্তু, তারপরই হঠাৎ সেখানে সংক্রমণও অনেক বাড়তে শুরু করে। এর নেপথ্যে পর্যটকদের ভিড়কেই দায়ি করেছে দার্জিলিং জেলা প্রশাসন। তারপরই পর্যটকদের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি করা হয় জেলায়। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে করোনা আক্রান্তের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে দার্জিলিং।
পর্যটকদের জন্য করোনা টিকার দুটি ডোজ অথবা করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আরটি-পিসিআর পরীক্ষার রিপোর্ট তিন দিনের বেশি পুরোনো হলে চলবে না। আর এগুলির মধ্যে কোনও একটি না থাকলেই ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাঁদের। সুকনা, নিউ জলপাইগুড়ি, শিমূলবাড়িতে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ। আর সেখানে চেকিংয়ের সময় যদি দেখা যায় কারও কাছে রিপোর্ট নেই বা টিকা নেওয়ার শংসাপত্র নেই তাহলেই তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বাতিল করা হচ্ছে বুকিং। এই কড়াকড়ির ফলে এখন শৈলশহরে পর্যটকের সংখ্যা অনেকটাই কমে গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- ইসলামের হাত ধরে জীবনে ফিরছে যুবকরা, মসজিদ থেকে মাইকে প্রচার করে দিশা দেখাচ্ছেন মৌলানারা
এদিকে এতদিন লকডাউন থাকার পর এখন পাহাড়ে পর্যটকদের সংখ্যা কমতে থাকায় কপালে ভাঁজ পড়েছে সেখানকার ব্যবসায়ীদের। পর্যটক নির্ভর এলাকা দার্জিলিং। সেখানে বেশিরভাগ মানুষের পেট চলে পর্যটকদের উপর নির্ভর করে। গাড়ি চালক থেকে শুরু করে হোটেল ব্যবসায়ী সবার মাথাতেই হাত পড়েছে।