সংক্ষিপ্ত
আজ বেলার দিকে আগরতলার একটি হোটেল সাংগঠনিক বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। তার জন্য আগে থেকেই হোটেলের একটি ব্যাঙ্কোয়েট বুক করা হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল মলয় ঘটক, ব্রাত্য বসুদের। কিন্তু, বৈঠক শুরুর আগেই হঠাৎ সেখানে উপস্থিত হয় ত্রিপুরা পুলিশ।
আজ আগরতলার একটি হোটেলে তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু, বৈঠক শুরুর আগেই সেখানে উপস্থিত হয় পুলিশ। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এই ধরনের বৈঠকের অনুমতি নিয়ে প্রশ্ন তোলে তারা। 'ত্রিপুরার সরকার তৃণমূলকে ভয় পেয়ে'-এই কাজ করেছে বলে দাবি তৃণমূলের।
আরও পড়ুন- অগাষ্ট মাসে ১৫ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাংক, রইল পুরো তালিকা
লক্ষ্য ২০২৩। হাতে বেশ খানিকটা সময় থাকলেও এখন থেকেই ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এগোতে চায় তৃণমূল নেতৃত্ব। এখন থেকেই সেখানে নিজেদের জমি শক্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তারা। তৃণমূলের জমি পরখ করতে কয়েকদিন আগেই সেখানে যান প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার ২৩ জন সদস্য। এদিকে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে তাঁদের ত্রিপুরার হোটেল 'বন্দি' করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। পরে তাঁদের সবার আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করা হয়। তার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্রমশই রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে ত্রিপুরায়।
এই বিষয়টি হাতিয়ার করেই ত্রিপুরায় নিজেদের পায়ের তলার জমি শক্ত করতে চাইছে তৃণমূল। তার অঙ্গ হিসেবে বিপ্লব সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলতে বুধবার ত্রিপুরায় যান মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক, এবং তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর আজ সকালে আগরতলায় পৌঁছন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েন। পৌঁছে গিয়েছেন কাকলি ঘোষ দস্তিদারও। আগামীকাল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও সেখানে যাবেন বলে জানা গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে ডেরেক বলেন, "ত্রিপুরায় কাজে এসেছেন আইপ্যাকের কর্মীরা। দিল্লি থেকে গ্রেফতারির নির্দেশ দেন অমিত শাহ। গুজরাট মডেলে ত্রিপুরা শাসন করছে বিজেপি।"
আরও পড়ুন- 'বিহারী গুন্ডা' বলে ডেকেছেন মহুয়া মৈত্র, বিজেপি বিধায়কের অভিযোগে কী বললেন তৃণমূল সাংসদ
এরপর আজ বেলার দিকে আগরতলার একটি হোটেল সাংগঠনিক বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। তার জন্য আগে থেকেই হোটেলের একটি ব্যাঙ্কোয়েট বুক করা হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল মলয় ঘটক, ব্রাত্য বসুদের। কিন্তু, বৈঠক শুরুর আগেই হঠাৎ সেখানে উপস্থিত হয় ত্রিপুরা পুলিশ। তৃণমূলের অভিযোগ, কারা বৈঠক ডেকেছে, কতজন উপস্থিত থাকবেন তা জানতে চাওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে ডেরেকর প্রশ্ন, "আমরা কি জঙ্গি? তাহলে ১০০ জন পুলিশকর্মী পাঠাল কেন?"
এ প্রসঙ্গে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে ব্রাত্য বসু বলেন, "জুলুমবাজির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে উঠেছে। এবার ত্রিপুরায় মানুষ কাজ চাইছেন। ত্রিপুরার সরকার তৃণমূলকে ভয় পাচ্ছে।" মলয় ঘটক বলেন, "বিরোধীদের ত্রিপুরায় কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না, বাংলায় ভয় দেখিয়ে গোহারান হেরেছে বিজেপি। যে সব রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় ছিল, সেখানেই হেরেছে। যে অত্যাচার ত্রিপুরায় হচ্ছে, এখানকার মানুষও বিজেপিকে হারাবে।"
আরও পড়ুন- রাজ্যসভার নির্বাচনে প্রার্থী দেবে না BJP, জানালেন শুভেন্দু
সূত্রের খবর, আইপ্যাকের কর্মীদের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পর তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন ত্রিপুরা পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা। ১ এবং ২ অগাস্ট তাঁদের আগরতলা থানায় (পূর্ব) তলব করা হয়েছে। দায়ের করা হয়েছে মামলা। পিকের টিমকে হোটেলে আটকে রাখা প্রসঙ্গে পূর্ব আগরতলা থানার ওসির দাবি, করোনা পরীক্ষা না করিয়েই বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা আইপ্যাকের কর্মীরা ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। করোনা পরীক্ষা করে তাঁদের মহামারি আইনে তলব করা হয়েছে। যদিও এ প্রসঙ্গে মলয় ঘটক বলেন, "কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট আসার পরও আটকে রাখা হয়েছে আইপ্যাকের কর্মীদের, এটা অগণতান্ত্রিক।"