সংক্ষিপ্ত

স্থানীয় মসজিদের মৌলানা, মৌলভী শুধু নয়, এলাকার গ্রামীন 'সর্দার' দের সঙ্গে নিয়ে বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন লাগাতার বৈঠকের মাধ্যমে উদ্যোগ গ্রহণ করছে স্থানীয় যুবকদের জীবনে ফেরানোর।

সীমান্তের জনজীবনে সামাজিক সংস্কারের লক্ষ্যে প্রশাসনকে দিশা দেখাচ্ছে 'মৌলানা' 'মৌলভী' থেকে গ্রামীণ 'সর্দার'রেরা। এ এক অদ্ভুত পরিবেশ। যেখানে ইন্দো-বাংলা মুর্শিদাবাদ সীমান্তের জনজীবনে মদ, জুয়া থেকে শুরু করে চোরাচালান, মাদক পাচার দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে। এহেন অন্ধকারময় সমাজ ব্যবস্থা থেকে সীমান্ত বাসীদের মুক্তি দিতে তথা জীবনের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনতে অভিনব উদ্যোগ নিল জেলা প্রশাসন। 

স্থানীয় মসজিদের মৌলানা, মৌলভী শুধু নয়, এলাকার গ্রামীন 'সর্দার' দের সঙ্গে নিয়ে বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন লাগাতার বৈঠকের মাধ্যমে উদ্যোগ গ্রহণ করছে স্থানীয় যুবকদের জীবনে ফেরানোর। সমাজের অবক্ষয় দূর করে নেশা মুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে এই উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। এই কাজে এগিয়ে এসেছে কাশিপুর জুম্মা মসজিদ কমিটি ।

এলাকায় পুলিশি নজরদারি এড়িয়ে যুব সমাজের মধ্যে দিন দিন বেড়ে চলেছে মাদকের প্রতি আসক্তি থেকে চোরাচালান, সেই সঙ্গে এলাকায় প্রবেশ করেছে জুয়ার মতো সর্বনাশা খেলা। এর ফলে এলাকার সামাজিক জীবন যাত্রা যেমন বিপন্ন হচ্ছে, তেমনি অর্থনৈতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে পুলিশ  প্রশাসনকে সাহায্য করতে এসেছে এলাকার মুসলিম সমাজ। ইতিমধ্যে এলাকার সর্দার ও মসজিদ কমিটি একটি বৈঠকে মিলিত হয়ে মসজিদ থেকেই ওই প্রচার শুরু করেছে। 

Bank holidays 2021:অগাষ্ট মাসে ১৫ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাংক, রইল পুরো তালিকা

Vastu Tips: বেডরুমের এক কোণায় রেখে দিন নুন, সংসারে ফিরবে শান্তি-সমৃদ্ধি

জানেন কী, আপনার জীবন থেকে কেটে নেওয়া হচ্ছে এক এক সেকেন্ড আয়ু

প্রাচারে বলা হচ্ছে এলাকায় মদ্যপান ও চোরাচালান বন্ধ করতে হবে। আবার মদ খেয়ে কেউ গ্রামের মধ্যে প্রবেশ করতে পাবেন না ।এদিকে জুয়া খেলার উপরেও জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা । সেক্ষেত্রে বলা হয়েছে মদ্যপ অবস্থায় কাউকে এলাকায় পাওয়া গেলে তার কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে এবং পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে । জুয়ার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম জারি করা হয়েছে । 

এই ব্যাপারে এদিন কাশিপুর জুম্মা মসজিদের ইমাম মৌলানা হাফেজ আব্দুল কারি বলেন ,“ নেশা মুক্ত সমাজের কথা বলা হয়েছে ইসলাম ধর্মে ।তাছাড়া এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতেই আমাদের এই সিদ্ধান্ত ।” মহম্মদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দুটি সংসদ ও গ্রাম পঞ্চায়েতের রমনাডাঙ্গা পাড়া,বুধর,বাথান পাড়া , কাশিপুর এলাকার মানুষ লহর মোড়ে জড়ো হন। মূলত ওই লহর এলাকাকে কেন্দ্র করেই জুয়া ও মদের নেশায় বুদ হচ্ছে যুব সমাজ।

স্থানীয় সর্দার নজরুল ইসলাম বলেন, “ পুলিশ দায়িত্ব পালন করছেন, সেই সঙ্গে আমাদের এই উদ্যোগের ফলে এলাকা থেকে মদ ও জুয়ার নেশা দূর করা সম্ভব হবে ।” ওই কাজকে সমর্থন করে ব্লক যুব তৃণমূল নেতা শেলিম শেখ ভুট্টো বলেন,”  অনুশাসন নয়,পুলিশ প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়েই মসজিদ কমিটির উদ্যোগে এই কাজ এলাকায় শুরু হয়েছে ।এই উদ্যোগের ফলে যুব সমাজ দিশা লাভ করবে 

"