করোনাভাইরাস জৈব-অস্ত্রই, চিনের বিরুদ্ধে অভাবনীয় অঙ্কের মামলা মার্কিন গোষ্ঠীর

করোনাভাইরাস জৈব অস্ত্রই

ফের উঠল অভিযোগ

এবার একেবারে চিন সরকারের বিরুদ্ধে হল মামলা

ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে ২০ ট্রিলিয়ন ডলার

 

ফের করোনাভাইরাস জৈব অস্ত্র বলে অভিযোগ উঠল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। তবে এবার আর কোনও ষড়ষন্ত্রের কাল্পনিক তত্ত্ব নয়, বিষয়টি একেবারে আদালতের বিচারের সামনে এনে ফেলা হল। ২০ ট্রিলিয়ন ডলার-এর বিশাল অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দাবি করে চিনা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মার্কিন আদালতে মামলা করা হল। প্রসঙ্গত চিনের জিডিপিই ১৪.১৪ ট্রিলিয়ন ডলার। আর ভারতের ৩.২০২ ট্রিলিয়ন ডলার।

আমেরিকান আইনজীবী ল্যারি ক্লেমন এবং তার অ্যাডভোকেসি গ্রুপ ফ্রিডম ওয়াচ এবং টেক্সাসের সংস্থা বাজ ফটো চিন সরকার, চিনা সেনাবাহিনী, উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি, উহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির ডিরেক্টর শি ঝেংলি এবং চিনা সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল চেন ওয়েই-এর বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেছে। তাঁদের দাবি চিনা সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি-তে একটি জৈবাস্ত্র তৈরি করতে গিয়েই করোনাভাইরাস-এর উৎপত্তি হয়েছে।  

Latest Videos

তাদের মতে, উহান ভাইরোলজি ইনস্টিটিউট থেকেই ভাইরাসটি মুক্তি পেয়েছিল। গণহত্যার জন্যই চিন কোভিড-১৯ ভাইরাসটির 'নকশা' করেছিল। ১৯২৫ সালেই জৈবিক অস্ত্র নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তাই এই জাতীয় জৈব অস্ত্র ব্যাপক ধ্বংসের জন্য সন্ত্রাসবাদ-সম্পর্কিত অস্ত্র বলে দাবি করেছেন তাঁরা ।

মার্কিন গোষ্ঠীটি একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন তুলে দিয়ে বলেছে, চিনে করোনাভাইরাস-এর মতো মারাত্মক ভাইরাস নিয়ে কাজ করার মতো শুধুমাত্র একটি মাইক্রোবায়োলজি ল্যাব ছিল, যেটি হল উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি। এই বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্যই চিন সরকার করোনাভাইরাস সম্পর্কিত বিবৃতি জাতীয় নিরাপত্তা প্রোটোকলের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছে। তাই এই নিয়ে দ্বিতীয় কোনও পক্ষের অনুসন্ধান চালানো সম্ভব নয়।

ক্লেম্যান এবং তাঁর দলবলের আরও অভিযোগ, যে চিনা চিকিৎসক এবং গবেষকরা করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন এবং আন্তর্জাতিক মহলকে সতর্ক করতে গিয়েছিলেন, তাঁদের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাদের আরও দাবি, এই ভাইরাসের হাত থেকে নিজেদের বাঁচাতে এতটাই মরিয়া ছিলেন  চিনা মেজর জেনারেল চেন, যে অপরীক্ষিত এক টিকাই তিনি নিজে ও তাঁর ঘনিষ্ঠ পরিমণ্ডলের ছয় সদস্য নিয়েছিলেন। 'আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ'-কে টিকিয়ে রাখতে এই অভিযুক্তরা একসঙ্গে কাজ করছে।

মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস কোনও দেশের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবহার করার জন্যই তৈরি করা হয়েছিল। এই ভাইরাস প্রয়োগ করে ধীরে ধীরে শত্রুদেশের সেনাবাহিনীর সদস্যদের কাবু করার পরিকল্পনা ছিল। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো চিনের এক বা একাধিক শত্রু দেশে সাধারণ জনগণের বিরুদ্ধেও এই ভাইরাস ব্যবহার করার কথা ভাবা হয়েছিল।

এইসব দাবির সপক্ষে তাঁদের কাছে প্রমাণ আছে তা জানান নেই। তবে গবেষকরা বলেছেন, নতুন করোনাভাইরাসটির ডিএনএ অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, প্রাকৃতিকভাবেই বিকাশ ঘটেছে এই ভাইরাস-এর, কৃত্রিমভাবে এর ডিএনএ নকশা করা হয়নি।

 

Share this article
click me!

Latest Videos

পুলিশি অভিযানে বড়সড় সাফল্য! উত্তেজনা রানাঘাটে, দেখুন | Ranaghat News Today
ইসকনের পাশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কড়া বার্তা দিলেন বাংলাদেশকে? Narendra Modi
অসাধ্য সাধন! যথেষ্ট পরিকাঠামো না থাকার সত্ত্বেও ৮০০ গ্রামের শিশুকে বড় করে তুলল বারাসাত মেডিক্যাল
ফের ইডির ভয়াল থাবা! মধ্যমগ্রাম কাঁপলো ইডির দুঃসাহসিক অভিযানে, দেখুন | North 24 Parganas | ED Raid
'রোহিঙ্গারা মমতার ভোট ব্যাঙ্ক তাই তিনি বিএসএফকে জমি দিচ্ছে না' বিস্ফোরক মন্তব্য অগ্নিমিত্রার