গোটা বিশ্ব এখন করোনা আতঙ্কে সন্ত্রস্ত। বিশ্বের ১৯০টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে সংক্রমণ। যার জেরে প্রাণ গিয়েছে ১৬ হাজার মানুষ। দিনে দিনে বাড়ছে মৃত্যু মিছিল। আক্রান্ত্রের সংখ্যা চার লক্ষ ছাড়িয়েছে। আর এই করোনা ভাইরাসের প্রথম প্রাদুর্ভাব ঘটেছিল চিনা ভূখণ্ডে। চিনের উহানকে বলা হচ্ছে এই মারণ ভাইরাসের এপি সেন্টার। বর্তমানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ চিনে কমে আসলেও বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তে ক্রমেই জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি। করোনার থাবা থেকে বাঁচতে পারেনি আমেরিকাও। দিনে দিনে দেশে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। জরুরী অবস্থা ঘোষণা করেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না মার্কিন প্রশাসন। আর এই অবস্থায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের যাবতীয় রাগ গিয়ে পড়েছে চিনের উপর।
বিশ্বে করোনা সংকটের জন্য চিনকেই কাঠগড়ায় দাঁড়ি করিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প তোপ দেগে বলেছেন, করোনাভাইরাস সম্পর্কিত তথ্য বেজিং লুকানোর জন্য বর্তমানে বিশ্বকে এর মাসুল দিতে হচ্ছে। এমনকি করোনাভাইরাসের নাম 'চাইনিজ ভাইরাস' দিয়েছেন ট্রাম্প।
চিনের বিদেশমন্ত্রক অবশ্য এর জবাব দিতে ছাড়েনি। মার্কিন প্রেসিডেন্টক মিথ্যুক বলা হয়েছে ট্যুইটারে। এবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই প্রচারের বিরুদ্ধে ভারতের সহযোগিতা চাইল চিনা প্রশাসন। চিনের তরফে বলা হয়েছে, ভারতের কোনও ভাবেই এই মারণ ভাইরাস বর্ণনার ক্ষেত্রে ‘চিনা’ শব্দটি ব্যবহার করা উচিৎ না। এর ফলে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে জানিয়েছে চিন।
লকডাউনে বা়ড়িতে বসে বোর হচ্ছেন তরুণী বৌদি, নেচেই ভাইরাল করলেন নিজেকে
লকডাউনে বা়ড়িতে বসে বোর হচ্ছেন তরুণী বৌদি, নেচেই ভাইরাল করলেন নিজেকে
দেশে এখন যুদ্ধ পরিস্থিতি, এড়িয়ে চলুন বাতানুকূল মেশিন, পরামর্শ উদ্ধব ঠাকরের
ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গে চিনা বিদেশ মন্ত্রী ওয়াং ইয়ির ফোনে কথোপকথন চলে। সেখানেই চিনা বিদেশমন্ত্রী জানান, 'চিন আশা করে যে ভারত “চিনা ভাইরাস” শব্দটি ব্যবহারে “সংকীর্ণ মানসিকতার” পরিচয় দেওয়ার তীব্র বিরোধী।' সম্প্রতি করোনা মোকাবিলায় ভারতে পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছে চিন।
এদিকে জিংপিং-এর দেশ যখন করোনার ওপর থেকে ‘চিনা ভাইরাস’ শব্দটি মুছতে মরিয়া তখন চিন ‘যুদ্ধের জৈবিক অস্ত্র’ হিসেবে এই মারণ করোনা ভাইরাস বানিয়েছিল বলে দাবি করে ২০ ট্রিলিয়ন ডলারের মামলা দায়ের করেছেন মার্কিন আইনজীবী ল্যারি ক্লেম্যান ও তার আইনি প্রতিষ্ঠান ফ্রিডম ওয়াচ ও বাজ ফটোজ।