মৃত্যুর আগে পোস্ট করা মার্কিন বাস ড্রাইভারের মর্মস্পর্শী ভিডিও, করোনা যুদ্ধে প্রত্যেকেই সৈনিক


করোনার উপসর্গ নিয়ে মত্যু 
মৃত্যুর আগে আমেরিকান বাস ড্রাইভাবের ভিডিও
মৃত্যুর পর ভাইরাল হয় ভিডিওটি
মৃতের পরিবারকে সমবেদনা স্থানীয়দের

Asianet News Bangla | Published : Apr 6, 2020 10:48 AM IST

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে আমাদের প্রত্যেককেই অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে। না হলে কিছুতেই পরাস্ত করা যাবে না করোনভাইরাসকে। এই যুদ্ধেই আমরা প্রত্যেকেই এক জন সৈনিক। আমাদের বর্ম আমাদেরই তৈরি করতে হবে। মৃত্যুর আগে সোস্যাল মিডিয়া এমনই এক ভিডিও পোস্ট করেন মার্কিন  বাস ড্রাইভার জনসন হারগ্রোভ। করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে গত দোশরা এপ্রিল তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। কিন্তু তার আগেই জানিয়েছেলন কী করে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন। পাশাপাশি তিনি বলেছেন এখনও যদি সরকার ও স্বাস্থ্য দফতরের গাইড লাইন মেনে না চলা হয় তাহলে আমাদের কপালে আরও অনেক খারাপ ফল রয়েছে। 

 

বছর ৫০ এর জনসন। আমেরিকার একটি সংস্থার হয়ে বাস চালাতেন। তিনি নিজেকে জনতার সেবক বলেই মনে করছেন। ভিডিওতে  তেমনই উল্লেখ করে জনসন ২১ মার্চের  একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, তিনি এক মার্কিন মহিলার দায়িত্বজ্ঞানহীনতার কথাই উল্লেখ করে তীব্র সমালোচনা করেছেন। জনসন বলেছেন, ২১ মার্চ এক মহিলা বাসে উঠেছিলেন। তাঁর সর্দি ও কাশি হয়েছিল। কিন্তু বাসে ওঠার পর থেকে মহিলা একাধিকবাক হেঁচে ছিলেন ও কাশি হচ্ছিল তাঁর। কিন্তু একবারের জন্যও মহিলা নাকে ও মুখে হাত চাপা দেননি। অথচ করোনভাইরাসের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতে মার্কিন প্রশাসন বারবার জানাচ্ছে সর্দি-কাশি থেকে সাবধানে থাকতে। পাশাপাশি আরও জানাচ্ছে হাঁচি বা কাশি হলে মুখে হাত চাপা দিতে হবে। পাশাপাশি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে মার্কিন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া আরও বেশ কিছু গাইডলাইনের কথাও উল্লেখ করেছেন জনসন। তিনি আরও বলেছেন সমান্য কোনও উপসর্গ দেখা দিলে বাড়িতেই থাকা উচিৎ। বাড়ির বাইরে না যাওয়াই ভালো। 

আরও পড়ুনঃ মাত্র ৯ মিনিটেই কেল্লাফতে, মোদীর ডাকে আলো নিভিয়ে সাশ্রয় ৩২ জিগাওয়াট বিদ্যুৎ

আরও পড়ুনঃ করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে রণনীতি বদলের পথে আইসিএমআর, দ্রুত অ্যান্টিবডি পরীক্ষার নির্দেশ

আরও পড়ুনঃ করোনার প্রভাবে এতটাই পরিবর্তন পাকিস্তানের, ভারতীয় বিমানের চালকদের প্রশংসা

বর্তমানে জনসনের এই ভিডিওটি ভাইরাল। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ওয়ালে এখনও একাধিক বার্তা আসছে। তাঁর স্ত্রী জানিয়েছেন সেই বার্তা তিনি চেষ্টা করলেও আর জনসনের কাছে পৌঁছে দিতে পারবেন না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রীতিমত ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে করোনাভাইরাস। আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় তিন লক্ষ। উল্কা গতিতে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। 

Share this article
click me!