মাত্র ৯ মিনিটে ৩২,০০০ মেগাওয়ায় বিদ্যুতের চাহিদা কমসাফল্যের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ উতরে গেছে দেশের পাওয়ার গ্রিডদাবি করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীধন্যবাদ জানিয়েছেন পাওয়ার গ্রিডগুলিকে 

রবিবার রাত ৯টার সময় ৯ মিনিটের জন্য বাড়ির আলো বন্ধ করে দিতে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে দেশের ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ছবি তুলে ধরেই তাঁর এই পরামর্শ ছিল। প্রধানমন্ত্রীর এই আবেদনের পরই শুরু হয়েগিয়েছিল জল্পনা। অনেকেই দাবি করেছিলেন যে আচমকা দেশবাসী সমস্ত বাড়ির আলো বন্ধ করে দিলে চাহিদা কমে যাবে বিদ্যুতের। ফলে বসে যাতে পারে বিদ্যুৎ গ্রিড। করোনাভাইরাসের সংক্রমণে এমনিতে বিপর্যস্ত দেশ। প্রধানমন্ত্রীর এই আবেদন অন্য বিপদ ডেকে আনবে বলেও মনে করেছিলেন অনেকে। কিন্তু সেই সব জল্পনা উড়িয়ে কেন্দ্রীয়া বিদ্যুৎ মন্ত্রক জানিয়েছে মাত্র ৯ মিনিটের চ্যালেঞ্জেই গোটা দেশ সাশ্রয় করেছে ৩২ জিগাওয়াট বিদ্যুৎ। 

Scroll to load tweet…

বিদ্যুৎ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী আরকে সিংদাবি করেছেন, রবিবার রাত ৮টা ৪৯ মিনিট পর্যন্ত বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১,১৭৩০০ মেগাওয়াট। কিন্তু ঘড়ির কাঁটা রাত ৯টা ছোঁয়ার পরই সেই চাহিদা কমে যায় ৮৫,৩০০ মেগেওয়াটে। তিনি আরও জানিয়েছেন রাত ৯টা বেজে ৯ মিনিট পর্যন্ত একই থাকে বিদ্যুতের চাহিদা। আর সেই হিসেব অনুযায়ী দেখা গেছে রবিবার মাত্র ৯ মিনিটেই প্রায় ৩২,০০০ মেগাওয়াট কম বিদ্যুৎ খরচ করছে দেশ।

Scroll to load tweet…

তিনি আরও জানিয়েছেন ব্ল্যাক আউটের পরই বিদ্যুতের চাহিদা বাড়তে শুরু করেছে। প্রায় গোটা দেশেই ভোল্টেজ ছিল ৪৯.৭ থেকে ৫০.২৬ এইচজেড। যা স্বাভাবিক বলেও দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। 

আরও পড়ুনঃ ভারতে করোনাভাইরাসের ১০টি হটস্পট, কেমন আছে দিল্লি, মহারাষ্ট্র আর কেরল

আরও পড়ুনঃ পলাতক মহিলার দেওয়া ঠিকানাও ভুয়ো, করোনা-জেহাদির ভয়ে সন্ত্রস্ত গোটা শহর

আরও পড়ুনঃ করোনা পরিস্থিতিতে পরামর্শ চেয়েই কি প্রণবকে ফোন, মমতা, সনিয়ার সঙ্গে আলোচনা মোদীর

রবিবারে কিছুটা হলেও কঠিন চ্যালেঞ্জ ছিল পাওয়ার গ্রিড গুলির কাছে। সেই পরীক্ষায় দেশের পাওয়া গ্রিড গুলি রীতিমত সাফল্যের সঙ্গে উতরে গেছে বলেও দাবি করেছে বিদ্যুৎ মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরকে সিং এনটিপিসি, এনএইচপিসিসহ একাধিক পাওয়ার গ্রিড ও বিদ্যুৎ কর্মীদেরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। 

রবিবার রাত ৯টায় ৯ মিনিটের চ্যালেঞ্জের জন্য প্রত্যেকটি কেন্দ্রে বিদ্যুৎ কর্মীদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।