কোয়ারেন্টাইনকে হাতিয়ার করে সরকার বিরোধীদের চাপে ফেলার অভিযোগ
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত না হয়েও কোয়ারেন্টাইনে বন্দি আইনজীবী
গিলগিট এলাকায় চিকিৎসাক পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই
পাকিস্তানে বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা
করোনাভাইরাসে সংক্রমিত নন, একাধিক পরীক্ষায় মিলেছে তার প্রমান। কিন্তু তারপরেও ছাড় নেই। কোয়ারেন্টাইনে বন্দি অবস্থায় জীবন কাটছে সরকার বিরোধী এক আইনজীবীর। একই সঙ্গে তাঁকে নানা ভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ। কবে তাঁকে ছাড়়া হবে তার কোনও উত্তর দিচ্ছেনা প্রশাসন। রবিবার সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খুলে পাক প্রশাসনের বিরুদ্ধে রীতিমত ক্ষোভ উগরে দিলেন গিলগিটের এক বরিষ্ঠ আইনজীবী মহম্মদ বকর মেহেদি। তিনি আরও বলেছেন, সরকার বিরোধী আইনজীবীকে আটকে রাখার চক্রান্ত করেই কোয়ারেন্টাইনে বন্দি করে রাখা হয়েছে। একের পর এক নমুনা পরীক্ষার পরেও প্রমানিত হয়নি যে সেই আইনজীবী করোনাভাইরাসে সংক্রমিত। সরকার চক্রান্ত করেই ওই আইনজীবীকে মুক্তিদিচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেছেন মহম্মদ বকর। মহম্মদ বকর মেহেদি আরও জানিয়েছেন, গিলগিট-বালতিস্তানে করোভাইরাসের সংক্রমণ ভয়াবহ আকার নিয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রাণের অভাব রয়েছে। উত্তর পাকিস্তানের আফগান লাগোয়া এই এলাকায় পর্যাস্ত ওষুধ ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করার বিষয়েও পাকিস্তান সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন আইনজীবী মহম্মদ বরক। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে পর্যাপ্ত চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু সেবকিছুর ব্যবস্থা করতে পাকিস্তান সরকার উদাসীন বলেও অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি গিলগিটে করোনা চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য প্রায় ৩০০ আইনজীবীর সই করা একটি চিঠিও পাঠান হচ্ছে পাক সরকারের কাছে। গিলগিটও পাকিস্তানের মধ্যে। সেখানের মানুষের দায়িত্ব পাক সরকারের। স্থানীয় মানুষের জন্য চিকিৎসার সুব্যবস্থা করার আবেদনই চিঠির মূল বয়ান বলে জানিয়েছেন মহম্মদ বকর মেহেদি।
করোনাভাইরাসে রীতিমত জর্জরিত পাকিস্তান। দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়েছে। যেখানে শুরু গিলগিটেই আক্রান্তের সংখ্যা ২১৬। এই অবস্থায় লকডাউন আরও কতদিন বাড়ানো হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সোমবার। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে সামাজিক সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে লকডাউনের পথেই হেঁটেছে পাকিস্তান।