সারা দুনিয়ার ছড়িয়ে পড়েছে করোনা সংক্রমণ। তার হাত থেকে নিস্তার পায়নি প্রতিবেশী পাকিস্তানও। ক্রমেই পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে দেশটির। পাকিস্তানে সরকারি ভাবে ইতিমধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ২,৬৩৭। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪০ জনের। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত দেশটিকে লকডাইনের ঘোষণা করেছে পাক সরকার। দেশবাসীকে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে না বেড় হওয়ার জন্য বারবার নিষেধ করছে পাক সরকার। আর এর মধ্যেই পুলিশ জনতা খণ্ডযুদ্ধে উত্তপ্ত হয়ে উঠল পাকিস্তানের বন্দরনগরী করাচি।
জুনে পরিস্থিতি হবে সবচেয়ে খারাপ, সমীক্ষা বলছে লকডাউন চলতে পারে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত
করোনা সংক্রমণের মধ্যেই নতুন বিপদ জাপানের সামনে, আগ্নেয়গিরির ভস্মের নিচে ঢাকতে চলেছে টোকিও
কেবল সচেতনতা দিয়ে রোখা সম্ভব নয় করোনা, মোদীর পথই অনুসরণ করলেন সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী
শুক্রবার জুম্মাবার উপলক্ষ্যে লকডাউনের মধ্যেই মসজিদগুলিতে সকলে মিলে নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশিকা জারি করেছিল পাক সরকার। সবাই ঠিক মত নিয়ম মেনে চলছে কিনা তা দেখতে নিয়াকতাবাদ এলাকায় রাস্তায় টহল দিতে নেমেছিল পুলিশের ভ্যান। সেই সময় কয়েকশো লোক পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। এমনকি উন্মত্ত জনতা পুলিশর গাড়ির পিছনে দৌড়াতেও শুরু করে। হঠাৎ করে জনতার এই আক্রমণে কোনও রকেম প্রাণ বাঁচিয়ে পালান পুলিশকর্মীরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়।
দেশ জুড়ে করোনা সংক্রমণের কারণে বর্তমানে পাকিস্তানের অর্থনীতি চরম সংকটের মধ্যে রয়েছে। প্রশাসন লকডাউনের পথে হাঁটায় গরিব মানুষদের রুজি একেবারে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। দেশটির পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। এই অবস্থায় উপযুক্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকায় আগামী দিনে পাকিস্তানের অবস্থা আরও উদ্বেগজনক হয়ে ওঠার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।