বুধবার করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক কোভিশিল্ডের দাম কমিয়েছিল সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। এবার সেই পথে ভারত বায়োটেকও দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা কোভ্যাক্সিনের দাম কমানোর কথা ঘোষণা করেছে। সংস্থার পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে জানান হয়েছে, রাজ্য সরকারগুলি ৬০০ টাকার পরিবর্তে ৪০০ টাকায় কোভ্যাক্সিন কিনতে পারবে। তবে বেসরকারি হাসপাতালে কোভ্যাক্সিনের ডোজ প্রতি দাম পড়বে ১২০০ টাকা।
ভারতে এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাসের টিকা হিসেবে কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ড জরুরি অনুমোদনের জন্য ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। দুটি সংস্থা তাদের তৈরি টিকার দাম জানানোর পরেই গোটা দেশজুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়ে। টিকার আলাদা আলাদা দাম নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। তারপরই গতকাল সেরামের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে রাজ্যগুলির জন্য টিকার দাম ৪০০ থেকে কমিয়ে ৩০০ টাকা করছে সংস্থা। সেই পথে হেঁটেই ভারত বায়োটেকও টিকার দাম কমিয়ে ৪০০ টাকা করল রাজ্যগুলির জন্য। ভারত বায়োটেকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ভারতের সামনে রয়েছে করোনা মহামারির কঠিন চ্যালেঞ্জ। উদ্বেগ জনক পরিস্থিতিতে দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা সম্বন্ধেও ওয়াকিবহাল তারা। আর সেই কারণেই রাজ্যগুলিকে ৪০০ টাকার বিনিয়মে টিকার ডোজ বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন কিনি। ভারত বায়োটেক আরও জানিয়েছে, সংস্থার পরিকাঠামো উন্নয়ন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালগুলির সমীক্ষার জন্য পর্যাপ্ত অর্থের প্রয়োজন। সেই ক্ষেত্রেই স্বচ্ছতা বজায় রাখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে।
শনিবার অর্থাৎ পয়লা মে থেকে দেশে শুরু হচ্ছে ১৮ বছরের উর্ধ্বদের টিকাকরণ। ইতিমধ্যেই কয়েক লক্ষ মানুষ টিকা আবেদন জানিয়ে নাম নথিভুক্ত করেছে। তবে বেশ কয়েকটি রাজ্য টিকা নেই বলেও অভিযোগ তুলেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী জানিয়েছেন টিকার কোনও অভাব নেই রাজ্যগুলি ১ কোটি ডোজ টিকা পাবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।