একবার করোনা আক্রান্ত হলে আর চিন্তা নেই, ৯ মাস নিশ্চিন্ত থাকা যাবে বলেই জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা

কোভিডের অ্যান্টিবডি কোনও মানুষের শরীরে স্থায়ী হয় ৯ মাস। তেমনই জানিয়েছে নতুন একটি গবেষণা। 

Asianet News Bangla | Published : Jul 19, 2021 6:31 PM IST / Updated: Jul 20 2021, 12:06 AM IST

কোভিড ১৯এ সংক্রমণের ৯ মাস পরেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির শরীরে উচ্চ মাত্রায় অ্যান্টিবডি থেকে যায়।  যাঁরা অধিকমাত্রায় কোভিড ১৯এ আক্রান্ত হন তাঁদের পাশাপাশি  লক্ষ্ণনযুক্ত বা অ্যাসিপটোমেটিক রোগীদের শরীরেও অ্যান্টিবডি ৯ মাসের জন্য স্থায়ী হয়। 

ইতালির একটি বিশ্ববিদ্যালয় ও ইংল্যান্ডের ইম্পেরিয়াল কলেজ অব লন্ডনের যৌথ গবেষণায় এই তথ্য সামনে এসেছে। ইতালির প্রায় ৩০০০ বাসিন্দার মধ্যে ৮৫ শতাংশেরও বিশে মানুষের ওপর সমীক্ষা চালান হয়েছিল। ২০০০ সালের মে মাসের পর নভেম্বর মাসেও তাঁদের পরীক্ষা করা হয়েছিল। নেচার অব কমিউনিকেশন জার্নালে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে ফেব্রুয়ারি-মার্চে যাঁরা আক্রান্ত হয়েছিলেন তাঁদের ৯৮ শতাংশের শরীরেই নভেম্বর মাসেই অ্যান্টিবডির উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। গবেষকরা জানিয়েছিন আক্রান্তদের পাশাপাশি লক্ষণযুক্ত রোগীদের ক্ষেত্রেও একই ফল পাওয়া গেছে।

Pegasus: বিরোধীদের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে ক্রোনোলজি বোঝালেন অমিত শাহ

সাবধান! ভুল করেও বেনামী লিঙ্কে ক্লিক নয়, পেগাসাস থেকে সাবধান হওয়ার পরামর্শ সাইবার বিশেষজ্ঞর

বাংলাদেশী নাগরিক ইস্যুতে নিশীথ প্রামানিকের পাশে দাঁড়াল মোদী সরকার, খারিজ করল বিরোধীদের দাবি 

গবেষকরা জানিয়েছেন তাঁরা এমন কোনও চিহ্ন দেখতে পাননি যেখানে কম সংক্রমিত বা লক্ষণযুক্ত ব্যক্তিদের শরীরে অ্যান্টিবডির মাত্রা তুলনামূলকভাবে কম। তাই এথেকে স্পষ্ট করে ধারনা করা যেতে পারে যে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি সকলের দেহেই সমান থাকবে। তবে অন্য একটি পরীক্ষায় দেখা গেছে অ্যান্টিবডির স্তরগুলির পরিবর্তন হচ্ছে। 

গবেষকরা জানিয়েছেন অ্যান্টিবডি ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। এই ক্ষয়ের হার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ওপরে নির্ভর করে। তবে এমন কিছু মানুষ খুঁজে পাওয়া গেছে যাঁদের শরীরে অ্যান্টিবডির মাত্রা তুলনায় অনেকটাই বেশি। যা ভাইরাসটি থেকে ওই ব্যক্তিকে রক্ষা করতে সহযোগিতা করেছিল। গবেষকরা জানিয়েছেন আক্রান্ত হওয়ার ৯ মাস পরে পরীক্ষা করে দেখা গেছে সংশ্লিষ্টদের শরীরে অ্যান্টিবডির মাত্রা অনেকটাই কম। অ্যান্টবডি আরও দীর্ঘ সময় মানুষের শরীরে রাখা যায় তার জন্য গবেষণা চালিয়ে যেতে হবে বলেও মন্তব্য করেছেন গবেষকরা। 
 

Share this article
click me!