সংক্ষিপ্ত

পেগাসাস মিডিয়া রিপোর্ট নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন অমিত শাহ। সেখানে তিনি বলেন, আপনি ক্রোনোলজিটা বুঝুন। 

পেগাসাস রিপোর্ট নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর ইস্তফা দাবি করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলের সাংসদরা। যার মধ্যে প্রথম সারিতেই রয়েছেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। তারপরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত বিবৃতি দিয়ে পেগাসাস মিডিয়া রিপোর্ট নিয়ে ক্রোনোলজি বোঝান। জিরো আওয়ারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অমিত শাহ তাঁর জনপ্রিয় ডায়লগ ব্যবহার করে বলেন 'আপ ক্রিনোলজি সামঝিয়ে'। 

পূর্ব লাদাখ সীমান্তে চিনের লাল চোখ, বড় যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে ঢেলে সাজাচ্ছে নতুন বিমান ঘাঁটি

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, বাদল অধিবেশনের আগের দিনই একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। একটাই লক্ষ্য পুরনো কাহিনি নিয়ে দেশকে আন্তর্জাতিক মঞ্চ হেয় প্রতিপন্ন করা। দেশের উন্নয়নকে স্তব্ধ করে দেওয়া। তিনি আরও বলেছেন চলতি বাদল অধিবেশন নিয়ে প্রচুর আশা রয়েছে দেশবাশীর। এই অধিবেশনে একাধিক বিল পাশ করানোর কথা রয়েছে। যা দেশের কৃষি থেকে শিল্পের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করবে। মোদী সরকারও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির দাবি মেনে সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু তারই মাঝে আচমকাই এই রিপোর্ট প্রকাশিত হয় যা নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু বাদল অধিবেশের দিকে তাকিয়েই এতদিন বসে ছিলেন দেশের সাধারণ মানুষ। 

পেগাসাসঃ সংসদে দাঁড়িয়ে অভিযোগ ওড়ালেন নতুন মন্ত্রী, বললেন 'এটি কাকতালীয় নয়'

অমিত শাহ আরও বলেছেন, ২০১৮-১৯ সালের মধ্যে ফোন হ্যাক করা হয়েছিল। যার মধ্যে ৩০০ জনেরও বেশি ভারতীয় ফোন হ্যাক করা হয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছে। কিন্তু এই ঘটনার কোনও প্রমাণ নেই। সেইসময়ই তিনি বলেন আপ ক্রোনোলজি সামঝিয়ে। তারপরই তিনি আরও বলেছেন অনেক মানুষই তাঁর ক্রিনোলজি সামঝিয়ে- এই বাক্যাংশটিকে হালকাভাবে নেন। কিন্তু এদিন তিনি গুরুত্বের সঙ্গেই বলছেন,যারা এটা নিয়ে হৈহট্টোগোল করতে চাইছে তারা সকলেই আন্তর্জাতিক দল। যারা ভারতের উন্নয়ন চায়না। তাই দেশের মানুষকেই ক্রোনোলজি আর যোগসাজশ বুঝতে হবে। 

সাবধান! ভুল করেও বেনামী লিঙ্কে ক্লিক নয়, পেগাসাস থেকে সাবধান হওয়ার পরামর্শ সাইবার বিশেষজ্ঞর

কংগ্রেস নেতা পেগাসাস প্রজেক্ট মিডিয়া রিপোর্টের জন্য কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছেন অমিত শাহকে। তিনি অমিত শাহর ইস্তফা দাবি করেছেন। একই সঙ্গে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকাও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।