অভিভাবকদের আশ্বাস্ত করে বলেছেন, এখন আর অভিভাবকদের সংক্রমণের সংখ্যার দেখলে চলবে না। তিনি বলেছেন অভিভাবকদের দেখতে হবে স্কুলে বা কলেজে কতজন পড়ুয়া সংক্রমিত হয়েছে।
ভারতে সামগ্রিকভাবে অনেকটাই কমে গেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। যদিও গত সপ্তাহ থেকে বেশ কয়েকটি শহরে সংক্রমণের মাত্রা বেড়়েছে কিন্তু তাকে কখনও কোভিড-১৯ এর চতুর্থ তরঙ্গের সূত্রপাত বলা যায় না। তেমনই জানিয়েছেন ভারতের শীর্ষ বায়োমেডিক্যাল বিজ্ঞানী গগনদীপ কৌর। তিনি বলেন এখনও এটাও স্পষ্ট নয় যে কোভিডের নতুন বংশধর XE ভেরিয়েন্টের কারণে সংক্রমণ কিনা। কারণ এখনও পর্যন্ত XE ভেরিয়েন্ট সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্যা পাওয়া যায়নি। বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলিও XE ভেরিয়েন্ট সম্পর্কে নিশ্চিত নয় যে এটি কতটা সংক্রমণ যোগ্য।
গগনদীপ কৌর জানিয়েছেন এই পরিস্থিতিতে অনেক রাজ্যে স্কুল খুলে গেছে। অনেক অভিভাবকই এই নিয়ে চিন্তিত। কিন্তু তাদের আশ্বস্ত করেছেন তিনি। বলেছেন এখন আর করোনাভাইরাসকে নিয়ে তেমন ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তিনি আরও বলেছেন, 'আমি মনে করি আপনারা যদি কোভিড সংক্রমিত হতে চান তাহলে এটাই সঠিক সময়। আর আপনার শিশুর মাধ্যমে সংক্রমিত হতে পারেন। সংক্রমিত শিশুদের সংখ্যাগরিষ্ঠের মধ্যেই কোনও রকম উপসর্গ দেখা যায় না।' তিনি একটি হিসেবে দিয়ে পরিষ্কার করে দিয়েছেন সংক্রিমত শিশুদের ৮০ শতাংশ উপসর্গ বিহীন। এখন আর সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা পাওয়ার দরকার নেই। তিনি আরও বলেছেন, ভাইরাসটি এতটাই ছড়িয়ে পড়েছে এটি আর এখন সকলকেই বারবার সংক্রমিত করতে পারে।
তিনি চিন্তিত অভিভাবকদের আশ্বাস্ত করে বলেছেন, এখন আর অভিভাবকদের সংক্রমণের সংখ্যার দেখলে চলবে না। তিনি বলেছেন অভিভাবকদের দেখতে হবে স্কুলে বা কলেজে কতজন পড়ুয়া সংক্রমিত হয়েছে। তাদের থেকে আরও কতজন আক্রান্ত হয়েছে। কতজনকে হাসপতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই সংখ্যাগুলি খুবই কম।
গগণদীপ কৌর বলেছেন, এখনও পর্যন্ত শিশুদের করোনা আক্রান্ত সম্পর্কে যে তথ্য পাওয়া গেছে তাতে দেখা গেছে শিশুদের প্রথম থেকেই হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম ছিল। তবে তিনি বলেছেন ১২ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়া জরুরি। পাশাপাশি তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন নতুন করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা ঠিক হবে না।