HIV+ মহিলার শরীরে ৩২ বার করোনার রূপ বদল, Covid 19-এ আক্রান্তের ২১৬ দিনের লড়াইয়ে চিন্তা গবেষকদের

  • কোভিড ১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াই ২১৬ দিন 
  • করোনাভাইরাসের পরিবর্তন ৩২ বার 
  • মহিলা এইচআইভি রোগে আক্রান্ত 
  • চিন্তা বাড়ছে বিজ্ঞানীদের

Asianet News Bangla | Published : Jun 6, 2021 11:23 AM IST

ক্রমশই কি ভয়ঙ্কর আকার নিচ্ছে করোনাভাইরাস? আরও একবার সেই প্রশ্নই উস্কে দিল সম্প্রতি প্রকাশিত হওয়া একটি গবেষণা পত্র। সেখানে বলা হয়েছে ৩২ বছর এক মহিলার দেহে করোনাভাইরাস ৩২ বার তার রূপ বদল করছে। যদিও মহিলা দীর্ঘদিন ধরেই এইচআইভিতে আক্রান্ত ছিলেন। সেইজন্য তাঁর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও অনেক কম ছিল। করোনাভাইরাসের সঙ্গে তিনি ২১৬ দিন লড়াই করেছিলেন বলেও হাসপতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার চিকিৎসা বিজ্ঞান সংক্রান্ত জার্নাল 'মে়আরএক্সআইভি'তে প্রকাশিত হয়েছে একটি গবেষণা পত্র। তাতে দক্ষিণ আফ্রিকার ওই মহিলার কথা বলা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ২১৬ দিন ধরে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়েছিলেন ৩২ বছররে এক মহিলা। সেই মহিলার শরীরে করোনাভাইরাসের ৩২ বছর চরিত্র বদল করছেন। মহিলা ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তারপর থেকে তাঁর শরীরের মধ্যেই করোনাভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনে ১৩টি মিউটেশন আর ১৯টি জিনগত পরিবর্তন হয়েছে। যা ভাইরাসের আচরণ পরিবর্তন করতে পারে। একই সঙ্গে মেডিক্যাল জার্নালে জানান হয়েছে ২০০৬ সাল থেকেই মহিলা এইচআইভি-তে আক্রান্ত ছিলেন। দীর্ঘদিন রোগে ভোগার কারণে তাঁর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অন্যদের তুলনায় অনেকটাই কম গিয়েছিল। 

মেডিক্য়াল জার্নালে বলা হয়েছে ব্রিটেন ও দক্ষণ আফ্রাকায় প্রথম খুঁজেপাওয়া করোনাভাইরাসের ২টি প্রজাতি আলফা (B.1.1.7) ও বিটা (B1.351) সংশ্লিষ্ট মহিলার শরীরে পাওয়া গিয়েছে। তবে মহিলার থেকে অন্য কেউ কোভিড ১৯এর সংক্রমিত হয়েছেন কিনা তার সন্ধান এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। গবেষণায় দেখা গিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার কাওয়াজুলু নাটান নামে এই গ্রামে করোনাভাইরাসের একাধিক প্রজাতির জন্ম হয়েছে। আর ওই এলাকারয় প্রতি চার জনের মধ্যে একজনেরও বেশি মানুষ এইচআইভি রোগে আক্রান্ত। 

এই তথ্য সামনে আসার পরই বিজ্ঞানীদের মনে তৈরি হয়েছে নতুন আশঙ্কা। কারণ তাঁরা ভাবতে শুরু করেছেন, তবে কি এইচআইভি রোগীদের শরীরে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে পারে করোনাভাইরাস। তাহলে ভারতের ক্ষেত্রে তা রীতিমত আশঙ্কার। কারণ এদেশে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। তাঁদের অধিকাংশের উপযুক্ত  চিকিৎসাও হয় না। 

Share this article
click me!