ভাবা মাত্রই কাজ সম্পূর্ণ। করোনা আক্রান্তদের জন্য় ট্রেনের ভিতরেই আইসোলেশন কোচ তৈরি করে ফেলল রেল। শনিবার কামাখ্য়া স্টেশনে দেখা গেল সেই ছবি। ভারতীয় রেলের তরফে জানানো হয়েছে, একটি কোচে সর্বোচ্চ ৯ জন করোনা আক্রান্তকে রাখা যাবে।
মমতার ডাকে সাড়া,করোনা রুখতে প্রচারে নোবেলজয়ীরা.
বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গে এবার ভারতেও তাল মিলিয়ে বাড়ছে করোনো আক্রান্তের সংখ্যা। সেই তুলনায় অভাব দেখা দিতে পারে বেডের। করোনা আতঙ্কে তাই রেলের মধ্য়েই কোয়রান্টিনের ব্যবস্থা করে ফেলল ভরাতীয় রেল। ইতিমধ্য়েই ট্রেনের কামরাগুলিকে কোয়ারেন্টাইন হিসাবে বানানোর কাজ শুরু করেছে তারা। যায় প্রথম ঝলক পাওয়া গেল কামাখ্যায়। ঝকঝকে রেলের কামড়াতেই এখানে তৈর করা হয়েছে কোয়রান্টিন। যেখানে অক্সিজেনের সুবিধার পাশাপাশি রয়েছে হৃদকম্পনের তারতম্য় বোঝার যন্ত্রপাতি।
সন্দেহের বশে যুবককে করোনা আক্রান্ত তকমা, ফেসবুক পোস্টে জেলে কাঁকিনাড়ার বাসিন্দা .
দেশের সাম্প্রতিক করোনা আক্রান্তের পরিসংখ্য়ান বলছে, এখনও স্টেজ-টুতে রয়েছে ভারত। গোষ্ঠী সংক্রমণের দিকে পা বাড়ায়নি দেশ। তবে আগামী দিন সেই আশঙ্কার জন্য় আগেভাগেই তৈরি থাকল ভারতীয় রেল। ইতিমধ্য়েই ভারতীয় রেলের এই কাজকে সাধুবাদ জানিয়েছে সোশ্য়াল মিডিয়া। করোনা ভাইরাস যাতে কোনওভাবেই না ছড়িয়ে পড়ে তা আটকাতে লকডাউন করা হয়েছে দেশে। বন্ধ বাস, গাড়ি, বিমান পরিষেবা। একইরকম ভাবে বন্ধ রেল পরিষেবাও। আপাতত আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন থাকবে গোটা দেশ। এই পরিস্থিতিতে ট্রেনের কোচগুলিকে কোয়ারেন্টাইন বানিয়ে প্রশসানের পাশে দাঁড়াতে তৈরি হয়েছে ভারতীয় রেল।
লকডাউনে রাস্তায় কেন দিদি, 'ভাইরা কী শিখবেন' প্রশ্ন দিলীপের..
রেলের উন্নতমানের কোচগুলিতেই কোয়ারেন্টাইন তৈরির জন্য বেছে নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে রেল কর্তারা এই সংক্রান্ত নির্দেশ পেয়ে গিয়েছেন। কী ভাবে এই কোয়ারেন্টাইন তৈরি করা হবে, কেমন ডিজাইনের হবে, সেসব বাস্তবে রূপ পেতে শুরু করেছে। কোন জায়গায় এই কোচগুলিকে রাখা হবে, কোথা থেকেই বা তার বিদ্যুৎ সরাবরাহ হবে, তা নিয়েও আলোচনা চলছে। ইতিমধ্যে কোন কোন স্টেশনে কোয়ারেন্টাইন কোচ রাখা হবে তা চূড়ান্ত করে ফেলেছে পশ্চিম রেল। প্রয়োজনে শহর থেকে দূরের এলাকাতেও এই কোয়ারেন্টাইন কোচগুলিকে পাঠানো হবে।
Isolation coaches have been prepared by Indian Railways to fight the #CoronavirusPandemic; Visuals from Kamakhya Railway Station (Assam) in Northeast Frontier Railway zone. 9 patients can be accommodated in one coach. pic.twitter.com/rU0A5g39AG
— ANI (@ANI) March 28, 2020
জানা গিয়েছে, রেলের যে সব কোচগুলিকে কোয়রান্টিন বানানো হচ্ছে তাদের খাবার সরবরাহ করা হবে প্যান্ট্রি কারের মাধ্যমেই। সেকারণে প্যান্ট্রি কারগুলিকে মোবাইল কিচেন বানানোর পরিকল্পনাও করা হয়েছে। এই সব প্যান্ট্রিকার, যাঁরা কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন তাদের খাবারের ব্যবস্থা করবে। পাশাপাশি চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্যও খাবার সরবরাহ করা হবে এখান থেকেই। বিভিন্ন স্টেশনে থাকা কোয়ারেন্টাইন কোচে খাবার পাঠানো হবে মোবাইল কিচেনের মাধ্যমে।
এখনও পর্যন্ত যা পরিকল্পনা তাতে ২০ হাজার কোচকে এই ভাবে কোয়ারেন্টাইন হিসাবে গড়ে তোলা হবে। আর প্রতিটি কোচে থাকতে পারবেন ৯ জন করে। প্রতি কোচে ন’টি লবি থাকে। প্রতিটি লবিতে ছ’টি করে বার্থ থাকে। এই এই এক একটি লবি হবে একটি করে থাকার জায়গা। এই হিসেবে একটি কোচে ন’জন আইসোলেশনে থাকতে পারবেন।