সংক্ষিপ্ত
- প্রধানমন্ত্রী লকডাউন ঘোষণার পরও রাস্তায়
- খোদ রাস্তায় নামছেন মুখ্য়মন্ত্রীযা মমতা
- যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন দিলীপ ঘোষ
- মুখ্য়মন্ত্রী কেন লকডাউন ভাঙছেন প্রশ্ন দিলীপের
প্রধানমন্ত্রী লকডাউন ঘোষণার পরও নিজেই রোজ রাস্তায় নামছেন মুখ্য়মন্ত্রী। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন রাজ্য় বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিজেপি নেতার প্রশ্ন, মুখ্য়মন্ত্রী হয়ে নিজেই লকডাউন ভাঙছেন মুখ্য়মন্ত্রী। তাহলে রাজ্য়বাসী তাঁর থেকে কী শিক্ষা নেবে।
বাংলার করোনায় দিল্লির গাফিলতি,তেহট্টের আক্রান্ত নিয়ে তথ্য় দেয়নি কেন্দ্র
রাজ্য়ের সাম্প্রতিক চিত্র বলছে, করোনা মোকাবিলায় নিজেই রাস্তায় নেমেছেন মুখ্য়মন্ত্রী। 'সোশ্য়াল ডিস্ট্যান্সিং' বোঝাতে কলকাতার একাধিক বাজারে রাস্তায় দাগ কেটেছেনমমতা। দেখিয়ে দিয়েছেন কীভাবে দূরত্ব বজায় রাখলে করোনা থেকে রক্ষা পাওয়াা যাবে। যদিও মুখ্য়মন্ত্রীর এই সাধু উদ্য়োগে আখেরে ক্ষতি দেখছেন বিজেপির রাজ্য় সভাপতি।
বিদেশ-ফেরত ঔদ্ধত্য়ে এবার করোনা ছড়়ালো নদিয়ায়, ন-মাসের শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজন আক্রান্ত.
ভিডিও বার্তায় দিলীপ ঘোষ। বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে বিশ্বের উন্নত সব দেশ শ্মশানে পরিণত হয়েছে। সেকথা জেনেও মুখ্যমন্ত্রী রোজ রাস্তায় বেরোচ্ছেন। তকাঁর সঙ্গে একাধিক লোক নিয়ে ঘুরছেন। মুখ্যমন্ত্রীর রাস্তায় বেরিয়ে খাবার বিতরণ করার দরকার নেই, লোককে বোঝানোর দরকার নেই। সেজন্য সরকারি কর্মচারীরা রয়েছেন। ক্লাব রয়েছে, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে আইন ভাঙলে সাধারণ মানুষ কেন আইন মানবে? একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, রাজ্যের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকাতেও এক অবস্থা। সেখানেও লকডাউন মানা হচ্ছে না । প্রচুর মানুষ রাস্তায় ভিড় জমাচ্ছেন।
অতি সঙ্কটজনক নয়াবাদের করোনা আক্রান্ত, একাধিক অঙ্গ বিকল হওয়ার আশঙ্কা.
সারা দেশে লকডাউন। ২১দিনের জন্য় সবাইকে গৃহবন্দি থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। পরিষ্কার বলে দিয়েছেন,দেশের এই লকডাউনকে হাল্কা ভাবে নেবেন না। এটা একপ্রকার কারফিউ। কিন্তু রাজ্য়ে এসে থেমে যাচ্ছে মোদীর ঘোষণা। এখানে নিত্যদিন পণ্য় পরিষেবা চালু রাখতে বাজার খোলা রাখার কথা বলেছেন মুখ্য়মন্ত্রী। তবে বাজারে বেরোতে মাস্কের সঙ্গে সঙ্গে বজায় রাখতে বলেছেন দূরত্ব। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে রাজ্য়ের ওয়াকিবহাল মহল।
সবার মুখেই এক কথা, কে কখন বাজারে বেরোবেন তা ঘরে বসে মানুষ বুঝবে কী করে। মুখ্য়মন্ত্রীই যখন সব খোলা রাখার কথা বলছেন, তখন পুলিশ দোকান বন্ধের কথা কেন বলেছে। কেন লাগাতার পেটানো হচ্ছে পণ্য় সরবরাহকারীদের। নবান্নে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মুখ্য়মন্ত্রী নিজেই বলেছেন, রাজ্য়বাসীর মুদিখানার সদাইও কি সরকার করে দেবে? দেখা যাচ্ছে, মুখ্য়মন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরই কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্য়ের লকডাউন নিয়ে এক বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। যেখানে বাজার করতে গেলে পুলিশি হেনস্থার মুেক পড়ছেন ক্রেতারা। অন্যদিকে, নিজেই বাজারে কীভাবে দূরত্ব রেখে দাঁড়াতে হবে তা এঁকে বোঝাচ্ছেন মুখ্য়মন্ত্রী।
সম্প্রতি পোস্তা, জানবাজার, রফি আহমেদ কিদওয়াই রোডে গিয়ে বাজারের বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্য়মন্ত্রী। ক্রেতা বিক্রেতাদের স্বার্থে কতটা দূরে দাঁড়াতে হবে তা রাস্তায় এঁকে দেখান তিনি। যদিও লকডাউনে মুখ্য়মন্ত্রী এই ভিজিট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। কেউ কেউ বলছেন, লকডাউনে মুখ্য়মন্ত্রীর বাইরে বেরোনোয় ভিড় জড় হচ্ছে। যা কখনোই কাম্য নয়। সম্প্রতি হাসপাতালে পরিদর্শনে গিয়েও মাস্ক দিয়ে এসেছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রাজ্য়ের ওয়াকিবহাল মহল। তাদের প্রশ্ন, হাসপাতালে মাস্ক পৌঁছে দেওয়ার মতো কর্মী নেই স্বাস্থ্য় দফতরের। সবই মুখ্য়মন্ত্রীকে করতে হবে।