মিউকরমাইকোসিস বা কালো ছত্রাক, আতঙ্ক ছড়াচ্ছে বেশ কয়েক দিন ধরেই। দেশের বেশ কয়েকটি জায়গায় রোগীর শরীরে মিলেছে কালো ছত্রাক বা মিউকরমাইকোসিসের সন্ধান। এবার খোদ কলকাতায় হানা দিল মিউকরমাইকোসিস। কলকাতায় এক রোগীর শরীরে এই ছত্রাকের সন্ধান মিলেছে।
সূত্রের খবর সাদার্ণ এভিনিউয়ের এক নার্সিংহোমে চলছে ওই রোগীর চিকিৎসা। চিকিৎসকরা রীতিমতো উদ্বেগে রয়েছেন। কারণ ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা কালো ছত্রাক (মিউকরমাইকোসিস) ছড়িয়ে পড়তে পারে আরও রোগীর দেহে। বাড়তে পারে সংক্রমণ। করোনার পরিস্থিতি দেশে ভয়াবহ। রাজ্যও তার ব্যতিক্রম নয়। এরই মধ্যে নয়া মাথাব্যাথা এই কালো ছত্রাক।
এর আগে সিএমআরআই হাসপাতালে ভর্তি এক রোগীর শরীরে কালো ছত্রাকের উপস্থিতি পান চিকিৎসকরা। সেই মহিলার মৃত্যু হয়। তিনি কলকাতার পার্শ্ববর্তী জেলার বাসিন্দা ছিলেন। এবার খোদ কলকাতাতেই ধরা পড়ল কালো ছত্রাকের উপস্থিতির প্রমাণ।
করোনামহামারির মধ্যেই এবার ধীরে ধীরে ভয়ঙ্কর আকার নিচ্ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগ। তাই করোনাভাইরাসের ওষুধের যেমন চাহিদা বেড়েছে তেমনই বেড়েছে কালো ছত্রাক রোগের ওষুধের চাহিদা। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের জারি করা একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যেসব কোভিড রোগীরা ডায়াবেটিসে ভুগছেন তাঁদারে মধ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগের প্রকোপ দেখা দিতে পারে। এছাড়াও করোনা আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘ দিন আইসিইউতে থাকা, স্টেরয়েড ব্যবহার, কোমর্বিডিটি-পোস্ট ট্রান্সপ্যান্টে আক্রান্তদের সাবধানে থাকতে পরামর্শ দিয়েছে।করোনা আক্রান্তদের শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়ায় এজাতীয় রোগের প্রকোপ বাড়ছে বলেও বলা হয়েছে।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের কারণে মাইক্রোমাইকোসিস সংক্রমণকারী আরও আরএ বেশি লোকের মধ্যে লিপোসোমাল অ্যামফোটেরিকিন বি ইনজেকশনের চাহিদা বেড়েছে। এই রোগের চিকিৎসায় যেসব ওষুধ ব্যবহার করা হত তার মধ্যে এটাই মূল ওষুধ। কিন্তু বর্তমানে এটির চাহিদা প্রবলভাবে বৃষ্টি পেয়েছে।
মূলত অ্যান্টি ফাঙ্গাল জাতীয় ওষুধগুলি এই রোগের ক্ষেত্র কার্যকর। ভয়ঙ্কর এই রোগে মৃত্যুর খবরও সামনে আসছে। গতবছর করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ভায়বহ আকার নেওয়ার পর থেকে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রে।