মাত্র পাঁচ মিনিট। এই স্বল্প সময়ের ব্যবধানে এক মহিলা দেওয়া হল কোভ্যাক্সিন (Covaxin) আর কোভিশিল্ড (Covishield)র ডোজ। করোনাভাইরাসের টিকার দুটি ডোজ দেওয়া হয়েছে বলে মহিলা নিজেই অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ ওঠার পরেই তৎপর প্রশাসন। দুরকম কোভিড টিকা দেওয়ায় পরেই তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শোকজ করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট নার্সদের। নজিরবিহীন এই ঘটনার সাক্ষী বিহারের বেলডারিচক।
প্রশাসন সূত্রের খবর সুনীলা দেবী নামের মহিলাকে মাত্র পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে দুরকমের করোনা টিকা দেওয়া হয়েছিল। প্রথমে তাঁকে দেওয়া হয়েছিল কোভিশিল্ডের ডোজ। পরবর্তী সময়ে একই হাতে তাঁকে দেওয়া হয় কোভ্যাক্সিনের ডোজ।এই ঘটনা সুনীলা দেবী তাঁরা বাড়িতে জানানোর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। টিকাকেন্দ্রে এসে সুনীলাদেবীর পরিবারের সদস্যরা বিক্ষোভ দেখান। তারপরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।
অনুমোদনের অপেক্ষায় কোভিড টিকা ZyCov-D, ছাড়পত্রপেলেই টিকা পাবে শিশুরা ...
ভোট পরবর্তী হিংসা, মামলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন বাঙালি বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায় ...
বিহারের পাটনার পুনপুন শহরে বেলডারিচকের একটি স্কুলে কোভিড ১৯এর টিকাদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই টিকা নিতে গিয়েছিলেন সুনীলাদেবী। প্রথমে তিনি নিজের নাম নথিভুক্ত করেন। তারপর দীর্ঘ লাইনে দিয়ে টিকাকেন্দ্রে প্রবেশ করেনব। প্রথমে তাঁকে কোভিশিল্ড টিকা দেওয়া হয়। তারপর চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণের কারণে তাঁকে অপেক্ষা করতে বলা হয়। মহিলা যখন অপেক্ষা করছিলেন সেখানে এক নার্স আসেন। তারপর তড়িঘড়ি তাঁকে কোভ্যাক্সিনের একটি ডোজ দেওয়া হয়। যদিও টিকা দেওয়ার আগে মহিলা জানিয়েছিলেন পাঁচ মিনিট আগেই তাঁকে টিকা দেওয়া হয়েছে। যে হাতে টিকা দেওয়া হয়েছিল সেই হাতটিও তিনি দেখিয়েছিলেন। কিন্তু কোনও কথা না শুনে নার্স তাড়িঘড়ি দ্বিতীয় একটি ইনজেকশন দিয়েছিলেন। তারপরই আতঙ্কিত সুনীলাদেবী বাড়ি ফিরে যান, সমস্ত ঘটনা খুলে বলেন পরিবারের সদস্যদের।
অক্টোবরেই আসছে করোনার তৃতীয় তরঙ্গ, পরিস্থিতি মারাত্মক হওয়ার আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদে
পরিবারের সদস্যরা টিকাকেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখান। তারপরই দ্রুততার সঙ্গে সুনীলাদেবীকে শীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হয়। ব্যবস্থা করা হয় চিকিৎসার। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে সুনীলাদেবীর শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল। তবে টিকাকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা দুই নার্স চঞ্চলাদেবী আর সুনীতাদেবীর কাছে এজাতীয় দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। তাঁদের শোকজ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক শৈলেশ কুমার কেশরী।