প্রায় বুধবারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে আরও একবার ভারতের বিশ্বকাপের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। অথচ গ্রুপ স্তরে একমাত্র ইংল্য়ান্ড ছাড়া বাকি সব দলকেই হারিয়েছিল বিরাট বাহিনি। ইংল্য়ান্ড ম্য়াচেও ৩৪০ রানের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় তাড়া করে ফেলেছিল। কিন্তু নকআউটের শুরুতেই ছিটকে গিয়েছে। আর এরপরই ক্রিকেট মহলে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে ভারত কি বড় টুর্নামেন্টে নকআউট স্তরের চাপ সামলাতে পারছে না?
২০১১ সালে দেশের মাঠে বিশ্বকাপ জেতার পর ২০১৩ সালে ইংল্যান্ডের মাঠে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল ভারত। ওটাই শেষ। তারপর থেকে ওডিআই ও টি২০ মিলিয়ে মোট চারটি আইসিসি টুর্নিমেন্ট খেলেছে ভারত। প্রত্যেকটিতেই এক গল্প। গ্রুপ স্তরে দুর্ধর্ষ, নকআউটে গিয়েই মুখ থুবড়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন - ছিটকে যাওয়ার চাপেই কি কাবু বিরাট, বারবার নকআউটে ব্যর্থতার রেকর্ড তাই বলছে
আরও পড়ুন - থ্রিডি ক্রিকেটার কাকে বলে, দেখালেন জাদেজা! এরপরও কি প্রশ্ন থাকবে
শুরুটা হয়েছিল টি২০ বিশ্বকাপ ২০১৪ সালের ফাইনাল দিয়ে। সেমিফাইনাল অবধি দুর্দান্ত খেলা ভারতীয় ব্য়াটিং-এর ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বোলিং-এর সামনে ভরাডুবি হয়েছিল। একমাত্র খেলেছিলেন কোহলি। ২০ ওভারে মাত্র ১৩০ তোলে। সাঙ্গাকারা একাই শ্রীলঙ্কাকে জিতিয়ে দেন।
এরপর আবার ২০১৫ সালের ওডিআই বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে তখনকার চ্যাম্পিয়ন ধোনির ভারত ১০১ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। অস্ট্রেলিয়ার ৩২৮ রানের জবাবে মাত্র ২৩৩ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল।
পরের টি২০ বিশ্বকাপ অর্থাৎ ২০১৬ টি২০ বিশ্বকাপে দেশের মাটিতে ধোনির ভারত আটকে গিয়েছিল সেমিফাইনালেই। ওয়াঙ্খেড়েতে কোহলির দুর্দান্ত ৮৯* রানের জোরে ১৯২ রান তুলেছিল ভারত। এত বড় রান তুলেও সিমন্স, চার্লস, রাসেলদের ওয়েস্টইন্ডিজকে আটকাতে পারেনি।
ধোনি জমানা পার করে বিরাট জমানাতেও এই প্রবণতা বজায় রয়েছে। দুই বছর আগে ২০১৭ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শোচনীয় হারের কথা ভারতীয় সমর্থকদের পক্ষে ভোলা কঠিন। সেই প্রথম কোনও আইসিসি টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হেরেছিল ভারত। কোহলির প্রথমে বল করার সিদ্ধান্তকে দায়ী করা হয়। পাকিস্তানের ৩৩৮ রানের বিশাল ইনিংসের সামনে মাত্র ১৮০ রানে গুটিয়ে যয়া রোহিত বিরাটদের ব্যাটিং লাইনআপ।
একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে বুধবার। তবে এই ম্য়াচে কিমন্তু ভারত দারুণ লড়াই করেছে। কিউইদের প্রথমে ২৪০ রানে আটকে রেখেছিলেন ভারতীয় বোলাররা। তারপর শুরুতে পর পর উইকেট হারালেও জয়ের খুব কাছাকাছি দলকে নিয়ে গিয়েছিল জাদেজা-ধোনির লড়াই। কিন্তু ফিনিশিং লাইন পার করা যায়নি।