বিশ্বকাপ ২০১৯-এর প্রথম তিন ম্যাচেই হেরে গিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ক্রিকেট বিশ্বকাপের ইতিহাসে এতটা বিপর্যস্ত অবস্থায় কখনও দেখা যায়নি প্রোটিয়াদের। অনেক প্রোটিয়া সমর্থকই অভাব বোধ করছেন এবি ডিভিলিয়ার্সের। এই পরিস্থিতিতে দলের বিপদে অবসর ভেঙে ফিরে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন ডিভিলিয়ার্স। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা দল এবং অধিনায়ক ফাপ ডু প্লেসিস এবিডি-কে দলে নিতে চান না বলেই জানিয়েছে 'ইএসপিএন ক্রিকইনফো'।
বুধবারই বিশ্বকাপ ২০১৯-এ ভারতের বিপক্ষে তাদের তৃতীয় ম্যাচে পরাজিত হয়েছে দক্ষ আফ্রিকা। প্রথম দুটি ম্যাচে তারা ৫০ ওভার ব্যাটই করতে পারেনি। তৃতীয় ম্যাচে মরিস-রাবাডা জুটির দৌলতে ৫০ ওভার ব্যাট করলেও দ্রুত প্রথম ৫ ব্য়াটসম্যানকে হারিয়ে বিপদে পড়েছিল প্রোটিয়া। যেই কারণে ২২৭ রানের বেশি ওঠেনি স্কোরবোর্ডে। আর তার পরের দিনই এবিডি-র এই ইচ্ছা প্রকাশে কথা জানা গেল।
বিশ্বকাপে ব্য়াটিং শক্তি কম থাকলেও বোলিং বিভাগ বেশ শক্তিশালী ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। রাবাডা, লুঙ্গি এনগিদি, ডেল স্টেইন, ইমরান তাহিরদের মতো বোলার ছিলেন তাঁদের বিশ্বকাপের ১৫ জনের দলে। স্টেইন চোট পেয়ে টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে গিয়েছেন। আর লুঙ্গি এনগিদিও চোটের জন্য খেলতে পারেননি ভারত ম্যাচে। পরের ম্যাচের আগে সুস্থ হতে পারবেন কি না, তাই নিয়েও সংশয় রয়েছে। এই অবস্থায় এবিডির মতো ব্য়াটসম্য়ানকে পেলে দক্ষিণ আফ্রিকার মিডল ্র্ডার বেশ মজবুত হতে পারত।
মূলটি কারণে এবিডি ইচ্ছা প্রকাশ করলেও চলতি বিশ্বকাপে তাঁকে দলে নেবে না দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম কারণটি টেকনিকাল। ৩৫ বছরের এবিডি ২০১৮ সালের মে মাসে হঠাতই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন। ক্রিকেট বিশ্বকাপ শুরু হয়েছে ঠিক তার একবছর পরে। দক্ষিণ আফ্রিকার দল নির্বাচনের নীতি অনুযায়ী গত একবছরের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া ক্রিকেটে বা প্রোটিয়া দলের হয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচে যাঁরা খেলেছেন তাঁরাই বিশ্বকাপের দলে বাছাই হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবেন। এই সময়ে এবিডি বিভিন্ন দেশে বেসরকারি টি২০ লিগ খেললেও ঘরোয়া ক্রিকেট বা দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেননি।
দ্বিতীয় কারণটি হল দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ ওট্টিস গিবসন ও অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস মনে করছেন এখন এবিডি-কে দলে নিলে, তাঁর অবর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের মিডল অর্ডারে যাঁরা খেলেছেন সেই, মার্করাম, বা ভ্যান ডার ডুসেঁ-র প্রতি অবি করা হবে। সেই কারণেই দল বিপদে পড়লেও তাঁরা ১৫ জনের বাছাই দলে যাঁরা আছেন তাঁদের নিয়েই এগোতে চাইছেন। সামনের পথটা অবশ্য বেশ দুর্গম। সেমিফাইনালে জায়গা করে নেওয়ার আশা টিকিয়ে রাখতে হলে সামনের ৬টি ম্যাচই জিততে হবে তাদের।